সুনামগঞ্জে হাওরে ৩০৮ কোটি টাকার স্থায়ী ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও বাঁধের পাশের গর্ত ভরাট প্রকল্পের কাজে ঠিকাদারদের গাফিলতির অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্তে যাঁদেরই গাফিলতি বা অনিয়ম পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আব্দুল লতিফ মোল্লা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা।

‘হাওরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ: ৩০৮ কোটি টাকার কাজ শেষ করতে তাড়াহুড়া’ শিরোনামে আজ প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সুনামগঞ্জের ১৪টি হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩০৮ কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের এই কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সময় আছে মাত্র দুই মাস, কিন্তু এখনো অর্ধেক কাজ হয়নি। বর্ষা চলে আসায় এখন কাজ করা কঠিন হবে, আবার যেটুকু হয়েছে তা–ও টিকবে কি না, এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। এসব তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনটির প্রসঙ্গ টেনে সভায় অতিরিক্ত সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, তিনি সুনামগঞ্জে থেকেই বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় কথা বলেছেন। আজ শক্তিশালী তদন্ত কমিটি হবে। প্রতিটি বিষয় তদন্ত করে দেখা হবে। এতে যদি পাউবোর কোনো কর্মকর্তাও জড়িত থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

গত শুক্রবার থেকে সুনামগঞ্জে অবস্থান করছেন জানিয়ে আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, এটি তাঁর নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শন। কোনো তদন্ত নয়। তিনি জগন্নাথপুর, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেছেন। প্রকল্পের ভুলত্রুটি যা রয়েছে, সেগুলো শোধরানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি ঠিকাদারদের পক্ষে নন। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে তাঁরা খুশি জানিয়ে আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, ‘এতে আমরা কাজে নজরদারি বাড়াব। ভুলত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে শুধরে নেব। স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাইকে নিয়েই কাজগুলো করতে হবে বলে জানান তিনি।’

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পালের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর বিভাগ–১) মো.

মামুন হাওলাদার, পওর বিভাগ–২–এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান, আইনজীবী মহসিন রেজা, সাংবাদিক এ আর জুয়েল ও জাকির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ইমনদ্দোজা আহমদ প্রমুখ। সভায় অন্যদের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়সার আলম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, সুনামগঞ্জে এবার হাওরের ফসল রক্ষায় ৬৮৪টি প্রকল্পে ৫৯৩ কিলোমিটার অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার হয়েছে। এতে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা আছে ১২৮ কোটি টাকা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান, হাওরের ৯৭ শতাংশ ধান কাটা শেষ। এবার নির্বিঘ্নে কৃষকেরা তাঁদের ধান গোলায় তুলতে পেরেছেন। এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

আরও পড়ুনহাওরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ: ৩০৮ কোটি টাকার কাজ শেষ করতে তাড়াহুড়া৮ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ৩০৮ ক ট প রকল প তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ বছর পর দুই দিকে ডান হাতে শুরু শ্রীলঙ্কার

তাই বলে তিন দশক কেটে গেল!

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে ওপেন করেছেন পাতুম নিশাঙ্কা ও লাহিরু উদারা। জানিয়ে রাখতেই হচ্ছে, দুজনেই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আর ঘটনা এ নিয়েই।

টেস্ট ১৯৯৫ সালের পর এই প্রথম শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ইনিংস শুরু করলেন। আজ গল টেস্টে তৃতীয় দিনের আগে শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টে। সে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন রোশন মহানামা ও চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

আরও পড়ুনআবার বিগ ব্যাশে দল পেলেন রিশাদ৩৩ মিনিট আগে

এরপর দীর্ঘ ৩০ বছরে শ্রীলঙ্কা টেস্ট খেলেছে ২৬০টি, ইনিংস ৪৭৯টি। এর মধ্যে ৫৫টি ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি ব‍্যবহার করেছে শ্রীলঙ্কা। তবে এ সময় কখনোই ওপেনিং জুটিতে দুজন ডানহাতি একসঙ্গে ছিলেন না।

দারুণ খেলছেন নিশাঙ্কা

সম্পর্কিত নিবন্ধ