নিরাপদ ভবন নির্মাণে রাজউককে দায়িত্ব নিতে হবে: গৃহায়ন
Published: 6th, May 2025 GMT
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেছেন, প্রতিটি ভবন নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং দুর্যোগসহনশীল হতে হবে। এজন্য রাজউককে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভবনের নির্মাণ পর্যায়ে তদারকি ও মান যাচাইয়ের জন্য দক্ষ ও আধুনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এর অভাবে অগ্নিকাণ্ড ও বিপর্যয় ঘটে। এজন্য ভবনের মালিক, প্রকৌশলী, স্থপতি ও ঠিকাদার সবার সচেতন হতে হবে।
মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজউক ও জাইকার যৌথ আয়োজনে ‘ভবন সংক্রান্ত দুর্যোগের (ভূমিকম্প ও অগ্নি) ঝুঁকি প্রশমনে জনসচেতনতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, রাজউক ও জাইকা আয়োজিত আজকের সেমিনারে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে শক্তিশালী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা যাবে, যা ভবিষ্যতে আমাদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, স্টেকহোল্ডররা আইন না মানলে কঠিন আইন করেও নিরাপদ নগর নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। আমাদের সমাজে আইন না মানার সংস্কৃতি রয়েছে। প্রভাবশালীদের মাঝে এ প্রবণতার হার বেশি। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রাজউকের কর্মকর্তারা অসহায়। অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো.
রাজউকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন, নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজউকের অভিযান চলছে। এসব অভিযানকে সাধারণ জনগণ স্বাগত জানাচ্ছে ও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে।
জাইকার প্রতিনিধি কবুতা সেমিনারে ‘ইম্প্রুভমেন্ট অব ডিজাইন অ্যান্ড কন্সট্রাকশন কোয়ালিটি ফর রেজিলেন্স অব প্রাইভেট বিল্ডিং (ডিসিকিউআর)’ প্রকল্পের রূপরেখা উপস্থাপন করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মোহা. হারুন অর-রশিদ।
দিনব্যাপী এ সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও রিহ্যাবের কর্মকর্তা এবং স্থপতি, প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে জয়ে শুরু বাংলাদেশের
ভিয়েনতিয়েনের আকাশে ছিল বাংলাদেশি মেয়েদের বিজয়ের রঙ। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বুধবারের (০৬ আগস্ট) ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন সাগরিকা। আর একটি গোল এসেছে মুক্তির পা থেকে।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে শান্তি মার্ডির কর্নার থেকে সাগরিকার হেডে আসে প্রথম গোল। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ৮ গোল করে আলো ছড়ানো এই তরুণী আবারও প্রমাণ করলেন, তিনি শুধু প্রতিভাবান নন, ধারাবাহিকও।
প্রথমার্ধে আরও একটি গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন সিনহা জাহান শিখা। কিন্তু তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ মিনিটে মুক্তির নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও ৮৬ মিনিটে লাওস একটি গোল শোধ করে। ইনজুরি টাইমে সাগরিকার দ্বিতীয় গোলটি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের জয়।
আরো পড়ুন:
ম্যাচসেরা হয়ে পুরস্কার পেলেন এক বস্তা আলু!
অবশেষে সংশয়ই সত্যি হলো, মাঠের বাইরে মেসি
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে লাওস (১০৭) বাংলাদেশের (১২৮) চেয়ে এগিয়ে থাকলেও মাঠে তার ছাপ ছিল না। এটি ছিল দুই দলের প্রথম মুখোমুখি লড়াই। যেখানে বাংলাদেশ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।
‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ৮ আগস্ট, প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুর। দক্ষিণ কোরিয়া ইতিমধ্যে পূর্ব তিমুরকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। যা গ্রুপের শক্তির ভারসাম্য বুঝিয়ে দেয়। তবে বাংলাদেশ যদি শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারে, তাহলে ইতিহাস রচনার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এমনকি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও মূলপর্বে খেলার সুযোগ রয়েছে। কারণ, সেরা তিন রানার্স-আপ দল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূল আসরে জায়গা পাবে।
ঢাকা/আমিনুল