বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, উদ্যোগ ও পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার জন্য রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই কমিটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগের বিচার ও মৌলিক সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি জানায়, দলের আহ্বায়ক মো.

নাহিদ ইসলামের অনুমোদনে রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবকে। এ ছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা নুসরাত তাবাসসুম, মাহবুব আলম, আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দিন মাহাদী, অনিক রায়, মুহাম্মদ হাসান আলী, ফরিদুল হক, মাওলানা সানাউল্লাহ খান ও সাদ্দাম হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব প্রথম আলোকে বলেন, লিয়াজোঁ কমিটি বিভিন্ন দল, পক্ষ ও উদ্যোগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে ও আলোচনায় বসবে। দলের কর্মসূচি ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে কমিটি কাজ করবে। জাতীয় স্বার্থের ইস্যু যেমন বিচার ও মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে বসা, আলোচনা করা এবং ঐকমত্যে পৌঁছানোর মতো কাজগুলোও করবে লিয়াজোঁ কমিটি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

গফরগাঁওয়ে নিখোঁজর পাঁচ দিন পর জলাশয়ে মিলল শিশুর মরদেহ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর আলিফ খান (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত আলিফ উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের স্বল্পছাপিলা গ্রামের সৌদিপ্রবাসী কানন খানের ছেলে। সে স্বল্পছাপিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

গত বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আলিফ। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে পাগলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দক্ষিণে প্রতিবেশী ওয়াসিম খানের কচুরিপানাযুক্ত পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পরে পাগলা থানা-পুলিশ জলাশয় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

শিশুটির প্রতিবেশী রাহাত খান বলেন, সৌদিপ্রবাসী কানন খানের একমাত্র ছেলে ছিল আলিফ। অনেকে বলছেন, শিশুটিকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই পরিবারের সঙ্গে কারও বিরোধ নেই।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, পাঁচ দিনে শিশুটির মরদেহ গলতে শুরু করেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ