আমাদের মাঝে মায়া-মমতা কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।

বুধবার (৭ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত ‘পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন: থিওরি অ্যান্ড কনসেপ্ট’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বইটির রচয়িতা ঢাবির উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নাজমুন্নেসা মাহতাব।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপনার (নাজমুন্নেসা মাহতাব) মতো বিদ্বান ব্যক্তিকে হোস্ট করতে পেরে গর্বিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে মায়া দরদ চলে যাচ্ছে। আমরা দিন দিন মেকানিক্যাল হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু একজন শিক্ষক যে মায়ার বাঁধনে শিক্ষার্থীদের জড়ান সেটার অনন্য উদাহরণ অধ্যাপক নাজমুন্নেসা মাহতাব। এত ব্যাস্ততার মাঝেও আপনি (নাজমুন্নেসা মাহতাব) যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন, এতে আমাদের সমাজ আরও উপকৃত হবে। জুনিয়র শিক্ষকরাও আপনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে।”

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে পঞ্চম জাইকা চেয়ার লেকচার অনুষ্ঠিত

১০০ কোটি টাকার ২ প্রকল্পে নেতৃত্ব দেবে ঢাবি

তিনি বলেন, “আমাদের কারিকুলামে এ রকম মৌলিক বই খুব বেশি নেই। ১৯৭২ সালে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলাকে নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলা ভাষায় ভালো বই বেশি নেই। আমরা চেষ্টা করছি একটা ট্রান্সলেশন ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করার। এটার কাজ আমরা দ্রুত শুরু করব।”

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়বুর রহমান, জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন রোজী, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সাবিত হাসান প্রমুখ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমবারের মতো ঢাবিতে বৃক্ষশুমারি শুরু

‘বিদেশি নয়, দেশীয় বৃক্ষে ঢাবি সাজাই’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৃক্ষশুমারি শুরু হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান মল চত্বরে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বৃক্ষশুমারি উদ্বোধন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদ এবং গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি কালচার সেন্টার এ বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

আরো পড়ুন:

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা বাস্তবায়নে বিক্ষোভের ডাক

আমাদের মায়া-মমতা কমে যাচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

এ সময় আরবরিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, পরিবেশ সংসদের নেতৃবৃন্দ, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃক্ষশুমারি কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ঢাবিতে নানা প্রজাতির বৃক্ষ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এই বৃক্ষশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণে উৎসাহ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধিতেও এই শুমারি অবদান রাখবে। এর মাধ্যমে আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারব।”

ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রেও এই শুমারি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ১০ সদস্যের একটি দল বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আইকনিক ল্যান্ডস্কেপে পরিণত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুল ও বনজ বৃক্ষের সংখ্যা ও ঘনত্ব নির্ণয়, বৃক্ষের স্বাস্থ্য, দেশী গাছ ও বিদেশি গাছের সংখ্যা নির্ণয়, প্রাচীন গাছের সংখ্যা নির্ণয়, বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় গাছের তালিকা তৈরি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকারক গাছের সংখ্যা নির্ণয়ে কাজ করবে তারা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবারের মতো ঢাবিতে বৃক্ষশুমারি শুরু
  • চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
  • ঢাবিতে পঞ্চম জাইকা চেয়ার লেকচার অনুষ্ঠিত
  • সিলেটে আইনজীবী হত্যায় ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
  • সিলেটে বাবাকে হত্যা: ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড