প্রথমবারের মতো ঢাবিতে বৃক্ষশুমারি শুরু
Published: 7th, May 2025 GMT
‘বিদেশি নয়, দেশীয় বৃক্ষে ঢাবি সাজাই’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৃক্ষশুমারি শুরু হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান মল চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বৃক্ষশুমারি উদ্বোধন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদ এবং গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি কালচার সেন্টার এ বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরো পড়ুন:
পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা বাস্তবায়নে বিক্ষোভের ডাক
আমাদের মায়া-মমতা কমে যাচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড.
এ সময় আরবরিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, পরিবেশ সংসদের নেতৃবৃন্দ, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃক্ষশুমারি কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ঢাবিতে নানা প্রজাতির বৃক্ষ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এই বৃক্ষশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণে উৎসাহ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধিতেও এই শুমারি অবদান রাখবে। এর মাধ্যমে আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারব।”
ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রেও এই শুমারি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ১০ সদস্যের একটি দল বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আইকনিক ল্যান্ডস্কেপে পরিণত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুল ও বনজ বৃক্ষের সংখ্যা ও ঘনত্ব নির্ণয়, বৃক্ষের স্বাস্থ্য, দেশী গাছ ও বিদেশি গাছের সংখ্যা নির্ণয়, প্রাচীন গাছের সংখ্যা নির্ণয়, বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় গাছের তালিকা তৈরি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকারক গাছের সংখ্যা নির্ণয়ে কাজ করবে তারা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার জন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দাবি জানিয়েছে নাগরিক কোয়ালিশন। শনিবার কোয়ালিশনের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম নাগরিক কোয়ালিশন। বিবৃতিতে এই কোয়ালিশন বলেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত সম্মেলনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য ও হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেশের কিছু বড় ও মূলধারার রাজনৈতিক দল আসন্ন নির্বাচনে ভোটের প্রতিযোগিতায় তুষ্টিবাদী রাজনীতির অংশ হিসেবে আহমদিয়াদের প্রতি বিষোদ্গার করছে। এটি খুবই আশঙ্কাজনক ব্যাপার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছি, এই সংকটকালে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনকে অস্থিতিশীল করতে পারে এমন যেকোনো গোষ্ঠীর ব্যাপারে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে; বিশেষ করে যারা ধর্মকে অবলম্বন করে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।’
দেশের অন্য যেকোনো নাগরিকের মতোই সংবিধানে আহমদিয়াদের ধর্ম পালনের অধিকার সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত রয়েছে বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য এই অধিকার রক্ষায় আমরা অবিচল থাকব।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো শ্রেণি, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিসত্তা এবং ধর্মীয় পরিচয়–নির্বিশেষে সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা বিষয়ে সরব থাকা। আমরা বিশ্বাস করি, এই মৌলিক সাম্যই হতে হবে জুলাই ২০২৪–পরবর্তী বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর।’
আরও পড়ুনখতমে নবুওয়তের মহাসম্মেলন থেকে ১ দফা দাবিতে বছরজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা৮ ঘণ্টা আগে