আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না– তা জনগণ ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টির দাবির বিষয়ে মঈন খান বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছে, তারা তাদের বক্তব্য বলেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক তো বিএনপি নয়– এটি জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয়। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে, কারা করবে না। এটাই আমাদের (বিএনপি) বক্তব্য।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কি আসলেই নির্বাচন করতে চায়, তারা কি আসলেই গণতন্ত্র চায়? সেটা তো আওয়ামী লীগকে বলতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের পর ৯ মাস চলে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে এ দেশের মানুষের ওপরে জুলুম, লুটপাট ছাড়াও ফ্যাসিস্ট কায়দায় এ দেশকে তছনছ করার ঘটনায় তারা ভুল স্বীকার করেনি, তারা ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশের মানুষের কাছে। তাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নটি আসলে আমাদের জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই। এর উত্তর বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জানে।

বৈঠকে ড.

আব্দুল মঈন খান ছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার ছিলেন। কার্টার সেন্টারের ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম ল গ মঈন খ ন ব এনপ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম নিয়ে মাঠে থাকবে :  মাসুম বিল্লাহ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ  মহানগরের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ইসলামী আন্দোলনের মুহতারাম আমির পীর সাহেব চরমোনাই আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স পাঠানোর জন্য ইসলামী সমমনা দলের সাথে সংলাপ ও পরামর্শ  অব্যাহত রেখেছে। 

আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম নিয়ে মাঠে থাকবে। কারণ দেশের জনগণ অনেক দল দেখেছে। তাদের শাসন দেখেছে । ইতিহাস খোঁজ নিলে দেখা যায় বিগত দিনে যারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্যই ব্যস্ত ছিল। 

দেশের জনগণের কথা ও রাষ্ট্র উন্নয়নের ব্যাপারে তাদের ভূমিকা ছিল খুবই নগণ্য। তাই এবার আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ সৎ ও খোদাভীরু রাষ্ট্রনায়ক দেখতে চায়। দেশ ও দশের কল্যাণই থাকবে যাদের কাছে মুখ্য।

আজ বুধবার বাদ মাগরিব নগর কার্যালয়ে  নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা সভাপতি মাওলানা ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান, সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সমন্বয়কারী মোঃ সুলতান মাহমুদ, যোগাযোগ সমন্বয়কারী মাওলানা শামসুল আলম, আইন সমন্বয়কারী ডাক্তার সাইফুল ইসলাম, প্রচার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ বিলাল খান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উত্তর সমন্বয়কারী মোঃ ইসমাইল ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ আর ভুল করবে না। কোন স্বৈরাচার, দখলদার, লুটপাটকারী ও পাচারকারীর হাতে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করবেনা। এবার তারা খোদাভীরু, যোগ্য ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা তুলে দিবে। 

তাই আসুন, আমরা আগামী নির্বাচনে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, আধুনিক কল্যাণ রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে: তারেক
  • ইসলামী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ‘নৈতিক অবক্ষয়ের চক্রান্ত সফল হবে না’  
  • নির্বাচনের চার মডেল
  • পাকিস্তানে হামলা ভারতকে বড় দ্বিধায় ফেলেছে
  • মাহফুজ-আসিফকে সরকার থেকে সরে আসা উচিত: তাসনুভা
  • করিডর দেওয়ার আগে বাংলাদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলের রায় লাগবে: সারজিস আলম
  • ইসলামের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ
  • বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রশংসা করলেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
  • আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম নিয়ে মাঠে থাকবে :  মাসুম বিল্লাহ