রূপগঞ্জে আওয়ামী দোসরের কাছ থেকে দেড় যুগ পর জমি উদ্ধার
Published: 10th, May 2025 GMT
রূপগঞ্জে দীর্ঘ দেড় যুগ পর জমির মালিকানা ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিক। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি মন্ত্রীদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপজেলার বাগবেড় মৌজায় ১০৫ নং দাগের সাড়ে ২০ শতাংশ জমির মধ্যে ৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিলেন মোজাম্মেল হক।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে বিচার সালিশের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকরা জমিটি ফিরে পায়। শনিবার (১০ মে) সকালে ফিরে পাওয়া জমিতে বাউন্ডারি দেয়াল দিয়েছেন বর্তমান মালিক রাশেদুল ইসলাম।
জমিটির প্রকৃত মালিক মৃত আবুল হোসেন। মৃত্যুর পর তার পাঁচ ছেলে ওই জমির মালিক হয়েছে। তাদের মোট জমির পরিমাণ সাড়ে ২০ শতাংশ এর মধ্যে ৬ শতাংশ জমি বেদখল ছিল।
জানা গেছে, রূপগঞ্জের বাগবেড় মৌজায় ১০৫ নং দাগের সাড়ে ২০ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক মৃত আবুল হোসেন। তার মৃত্যুর পরে মো.
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার সরকারের পতন হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে বিচার সালিশ করে দখলকৃত জমিটি ফিরে পায় প্রকৃত মালিকের অংশীদাররা। পরে জমির প্রকৃত মালিক মৃত আবুল হোসেনের পাঁচ ছেলে এই জমি রাশেদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে দেয়।
এ বিষয়ে মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে মো. আরিফ বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর মোজাম্মেল হক ওরফে মগা জোরপূর্বক আমাদের ৬ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সেই জায়গা পুনরায় মেপে জমি ফিরে পেয়েছি। পরে সেই জায়গা আমরা রাশেদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করি।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে অবৈধভাবে তারা আমাদের জমি দখল করে দোকানপাট ভাড়া দিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় এক থেকে ২ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। এটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি।
এর আগে, গত শনিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, উভয়পক্ষের আইনজীবি, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও এলাকার ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে বিচার শালিস বসে। তখন মোজাম্মেল হকের আইনজীবি জমির মালিকানা নিয়ে সঠিক কাগজপত্র দাখিল করতে পারেননি।
তাছাড়া ক্রয়কৃত জমির পরিমাণ মোজাম্মেল হকের বাউন্ডারীর ভিতরে বেশি থাকায় রাশেদুল ইসলামকে বৈধতা হিসেবে বাকি জমি বুঝিয়ে দেন। পরে শনিবার থেকেই রাশেদুল ইসলাম তার জমিতে বাউন্ডারী দেওয়াল নির্মাণ শুরু করেন এবং প্রাপ্ত ফিরে পান।
বিচার শালিসে উপস্থিত ছিলেন- রাশেদুল ইসলামের আইনজীবি রিপন শর্মা, মোজাম্মেল হকের আইনজীবি মহসিন প্রধান, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম, রূপগঞ্জ জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়া, শহিদুল্লাহ মিয়া, ফজুল হক মিয়া, নুর মোহাম্মদ, জমির মালিক রাশেদুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক (মগা) সহ আরো অনেকে।
বিচার শালিসে উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে সর্ব সম্মতিক্রমে রাশেদুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকের জায়গা পরিমাপ করে পৃথকভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে একটি বাউন্ডারী দেওয়াল ভেঙে ওই সম্মত্তির বিরোধ সমাধান করা হয়।
বিচার শালিসে থাকা জজ মিয়া বলেন, বাগবেড় এলাকার একটি জমি নিয়ে রাশেদুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয়পক্ষের লোকজন আইনজীবিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিচার শালিস বসে। উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে সঠিক সমাধান দেয়া হয়েছে। এ থেকে ওই জমি নিয়ে কোনো পক্ষের মধ্যে বিরোধ থাকবে না।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিরোধপূর্ণ জমির সমাধানের জন্য উভয়পক্ষকে আইনজীবি নিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। পরে জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষের আইনজীবির মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ম জ ম ম ল হক র র শ দ ল ইসল ম উভয়পক ষ র ল গ সরক র ক গজপত র র আইনজ ব ব উন ড র র পগঞ জ এল ক র আম দ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে প্রভাষক পদে ফাইজুল হক ঈশানকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে এস এম ফাইজুল হক ঈশানকে আগামী এক মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তিনজন প্রভাষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে এস এম ফাইজুল হক ঈশান আবেদন করেন। পরে ওই বছরের ১৩ আগস্ট নির্বাচনী বোর্ড সভায় তাকে প্রভাষক পদে উপযুক্ত বিবেচনায় নির্বাচিত করে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তবে পরবর্তীতে সিন্ডিকেট বোর্ড ফাইজুল হক ঈশানকে নিয়োগ না দেওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আদালত তখন রুল জারি করে স্থিতি আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতা গতকাল ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলুট রায় দেন হাইকোর্ট।
আদালত বাদী ঈশানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ, আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল ও সেলিম রেজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহমেদ ইসতিয়াক।