ফাজিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯৩ শতাংশ
Published: 13th, May 2025 GMT
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল (স্নাতক) পাস পরীক্ষা-২০২৩ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী ভাইস-চ্যান্সেলরের কাছে পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.
ফলাফল প্রকাশকালে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং সল্পসময়ে ফলাফল প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। একইসাথে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তিনি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এ বছর মেধাতালিকায় ১ম বর্ষে পিরোজপুর জেলার ছারছীনা দারুস সুন্নাত কামিল মাদরাসা এবং ২য় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষে চট্টগ্রাম জেলার জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা পৃথকভাবে প্রথম স্থান অর্জন করায় সংশ্লিষ্ট মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান ভাইস চ্যান্সেলর।
এ বছর তিন বর্ষে সর্বমোট এক লাখ ১৭ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে এক লাখ ৯ হাজার ৮২৮ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পরীক্ষায় পাসের হার ১ম বর্ষ ৯০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ২য় বর্ষ ৯৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং তৃতীয় বর্ষ ৯৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ।
গত ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা ফলাফল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে www.iau.edu.bd এ পাওয়া যাবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য় পর ক ষ র ম হ ম মদ য় বর ষ ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
দেশ যেন এক মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে: হাফিজ উদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। কখনো সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, কখনো সাধারণ মানুষকে হত্যা—দেশ যেন এক মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।’
শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকোয়েট হলে ‘একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা এ সভার আয়োজন করে।
হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একমাত্র একজন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ছাড়া কেউ গণ-আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি। এদের অনেকেই শেখ হাসিনার দোসর ছিল। যে কারণে শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী একই আছে। মাঝখান থেকে সুযোগ নিয়েছে একটি রাজনৈতিক দল—যারা একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। তারা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কীভাবে জানি না, তাদের প্রতিনিধি বসিয়ে দিয়েছে এবং তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে যেসব সুযোগ পাওয়া যায়, সেটি দিব্যি ব্যবহার করছে। আর আমরা বিএনপির কর্মীরা শুধু যুদ্ধ করে গেলাম, জীবন দিয়ে গেলাম, কতবার জেলে গিয়েছি তার হিসাব নাই।’
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একাত্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দ্বারা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যই থাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যও সেটিই ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হবে—এ কথা তারা তখন চিন্তাই করেনি। স্বাধীনতার পর তারা কল্পকাহিনি শুরু করল যে অনেক আগে থেকেই তারা স্বাধীনতার জন্য লড়ছিল। বাংলাদেশের ছাত্র, জনতা, যুবক, শ্রমিকদের বীরত্বের কাহিনি আওয়ামী লীগের আমলে জনগণকে জানতে দেওয়া হয়নি।’
একাত্তরের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের এ জাতি চিনল না—এটা দুঃখের বিষয়। অধিকাংশ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন লুঙ্গি পরা, খালি পায়ে, মাথায় গামছা বেঁধে খেটে খাওয়া মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেখলাম ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী মহানগরের ছেলেরা সব মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় রাজনৈতিক দলগুলো আলোতে আসার সুযোগ দেয়নি।’
জামায়াতের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়া নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা নির্বাচন চায় না। তারা তো অলরেডি ক্ষমতা ভোগ করছে। নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। তারা বলে পিআর সিস্টেমে নির্বাচন। এই দেশের মানুষ দীর্ঘকাল ধরে ভোট দিয়ে আসছে একজন প্রতিনিধিকে—এলাকার মানুষের আপদ-বিপদে যাঁকে পাওয়া যায়। যিনি কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, এমন মানুষকেই ভোট দেয়। কিন্তু তারা মনে করে আগামী দিনে তো আমরা ক্ষমতায় যেতে পারব না, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। সুতরাং বিএনপি যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে, এ জন্যই তারা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায়। বাংলাদেশের জনগণ পিআর সিস্টেম বোঝে না, তারা পছন্দের ব্যক্তিকে দেখতে চায় তাদের প্রতিনিধি হিসেবে।’
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান এবং খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল আলম। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের খুলনা মহানগরের সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন।