জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্টের বৈঠক
Published: 14th, May 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট ক্যারি কেনেডি। বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি এবং লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের এশিয়ার স্টাফ অ্যাটর্নি ক্যাথরিন কুপার এবং আন্তর্জাতিক পরামর্শ ও বিচারিক কার্যক্রমের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলিটা ব্যায়েন্স।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি সমৃদ্ধিশালী গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায়, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নির্দেশ করবে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হবে এবং দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করবে কমিশন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই কেবল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ জনগণের দোরগোড়ায় সুবিচার ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পারে।
এ সময় ক্যারি কেনেডি ঐকমত্য কমিশনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কমিশনের সাফল্য কামনা করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র–চীন আলোচনায় বড় অগ্রগতি, ৯০ দিনের জন্য শুল্ক কমাতে ঐকমত্য
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনায় বড় অগ্রগতি হয়েছে। দেশ দুটি পরস্পরের পণ্যে যে বিপুল হারে শুল্ক আরোপ করেছিল, প্রাথমিকভাবে তারা ৯০ দিনের জন্য সেই শুল্ক অনেকাংশে কমিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
আজ সোমবার এক যৌথ ঘোষণায় মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর আগে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্বের বৃহত্তম এই দুই অর্থনীতির প্রতিনিধিদের মধ্যে সপ্তাহজুড়ে টানা আলোচনা হয়েছে। এই সময় উভয় পক্ষ জানিয়েছে, আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে।
যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, ১৪ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যে আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে নিয়ে আসবে, এবং চীনও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চলমান রাখতে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া গড়ে তুলতে একমত হয়েছে। আলোচনায় চীনের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির সহকারী প্রধানমন্ত্রী হি লিফেং এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চুক্তিভুক্ত উভয় পক্ষের সম্মতিতে এই আলোচনা পর্যায়ক্রমে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে অথবা অন্য কোনো তৃতীয় দেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী উভয় পক্ষ প্রাসঙ্গিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়গুলোতে বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক পর্যায়ের বৈঠক করবে; অর্থাৎ সমস্যা সমাধানে আরও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে দেশ দুটি।