৩৪তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩ মে
Published: 15th, May 2025 GMT
৩৪তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা আগামী ২৩ মে থেকে শুরু হবে। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চার দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে।
বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ‘ব্লকেড’ খ্যাত আমেরিকান বন্ধু ফিলিস টেইলর। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সাহিত্য সমালোচক, দার্শনিক ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.
অনুষ্ঠানে আরও থাকবেন ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার ড. আবদুন নূর, লেখক ও বিতার্কিক বিরূপাক্ষ পাল, কবি ও লেখক ড. আবেদীন কাদের, কবি শামস আল মমীন, কবি ও সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি, লেখক ও সাংবাদিক সরকার কবিরুদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, অনুবাদক নাজমুন নেসা পিয়ারি, কবি জাফর আহমদ রাশেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীম রেজা, কবি ও প্রাবন্ধিক বদরুজ্জামান আলমগীর, কবি জসিম মল্লিক, কথাসাহিত্যিক ফরহাদ হোসেন, কবি ও সাহিত্য সম্পাদক ফারুক আহমেদ, কবি মঈনউদ্দিন মুনশী, লেখক ও সাংবাদিক অভীক সারোয়ার রহমান, লেখক ও প্রকাশক হুমায়ূন কবীর ঢালী, বিনোদন সাংবাদিক তানভীর তারেক, শিশুসাহিত্যিক আশিক মুস্তাফা এবং কথাসাহিত্যিক পারমিতা হিম প্রমুখ।
প্রকাশকদের মধ্যে থাকছেন- মনিরুল হক (অনন্যা), আলমগীর সিকদার লোটন (আকাশ প্রকাশন), রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল (নালন্দা), জসিম উদ্দিন (কথাপ্রকাশ), সজল আহমেদ (কবি প্রকাশনী), দীপঙ্কর দাশ (বাতিঘর) এবং মাহবুবুল হাসান ফয়সল (ঋদ্ধি প্রকাশন)। অন্যান্য অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সময় প্রকাশন, আহমদ পাবলিশিং হাউজ, অন্বয় প্রকাশ, প্রথমা প্রকাশন, অঙ্কুর প্রকাশনী, স্টুডেন্ট ওয়েজ, কাকলী প্রকাশনী, কালের চিঠি, শব্দঘর, ঘুংঘুর, পঞ্চায়েত, ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল পাবলিকেশন্স ও মুক্তধারা নিউইয়র্ক। এসব প্রকাশনীর স্টলে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, অনুবাদ, ভ্রমণ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যাবে।
বইমেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও থাকছে লেখক-পাঠক মুখোমুখি আলোচনা, নতুন বই নিয়ে আলোচনা, স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর, কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও বিভিন্ন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা।
আমন্ত্রিত শিল্পীদের মধ্যে থাকছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ফাহমিদা নবী, শাহ মাহবুব, কৃষ্ণা তিথি, স্বপ্নীল সজীব, মোহাম্মদ শাহীন হোসেন, কার্তিক চন্দ্র মন্ডল, উচ্ছল ব্যানার্জীসহ আরও অনেক স্বনামধন্য শিল্পী।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বইম ল ন উইয র ক প রক শ অন ষ ঠ বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার কঠোর হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানান। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মোবাইল অপারেটররা এখনো কেন ইন্টারনেটের দাম কমাচ্ছে না—সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। জবাবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলো যাতে ইন্টারনেটের দাম কমায়, সে জন্য পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে যাঁরা এখনো অংশগ্রহণ করেননি, তাঁদের অংশগ্রহণ করা উচিত।
মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, যদি মোবাইল অপারেটররা সহযোগিতা না করে, তাহলে তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় যে নেগোসিয়েশনগুলো, সেগুলো তাঁরা আলোচনার টেবিলে আনবেন। সেখানে অমীমাংসিত বকেয়াও উঠে আসবে। পারফরম্যান্স কেপিআইগুলোও তখন পর্যালোচনা করা হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, তাঁরা কারও পথ ‘ব্লক’ করতে চান না। কিন্তু অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা এমন একটা অবস্থানে পৌঁছাতে চান, যেখানে নাগরিকদের কম দামে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়।
সরকার কিংবা বিটিআরসির অগ্রাধিকার ইন্টারনেটের দাম কমানো বলে উল্লেখ করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম রাতারাতি কমানো সম্ভব না।...এটা একটা এজেন্সির ওপর নির্ভর না, এটা পুরো ইন্ডাস্ট্রির ওপর নির্ভর করে।’
গতকাল বুধবার গ্রামীণফোনের ফোর-জি সেবা অন্তত ৪০ মিনিট বিঘ্নের বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, তাঁরা অফিশিয়ালি অপারেটরটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। অপারেটরটি একটি কারিগরি অনুসন্ধান করছে বলে জানিয়েছে। সেটা শেষ হলে তাঁরা এ বিষয়ে বলতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দায় চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন) জহিরুল ইসলাম।