ময়মনসিংহে ৭ বছর পর ছাত্রদলের পাঁচ ইউনিটের নতুন কমিটি
Published: 15th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহে প্রায় সাত বছর পর জেলা দক্ষিণ, উত্তর, মহানগর, আনন্দ মোহন কলেজ ও কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন কমিটিতে স্বাক্ষর করেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাকিবুল ইসলাম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে কমিটি প্রকাশ করে অভিনন্দন জানান।
১১ সদস্যবিশিষ্ট ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে আজিজুল হাকিম সভাপতি ও রাকিব হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এ ছাড়া চারজন সহসভাপতি, তিনজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও একজনকে দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
উত্তর জেলা ছাত্রদলের ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে নূরুজ্জামান সোহেল সভাপতি ও এ কে এম সুজা উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এ ছাড়া চারজন সহসভাপতি, তিনজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও একজনকে দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
মহানগর ছাত্রদলের ১১ সদস্যের কমিটিতে গোবিন্দ রায় সভাপতি ও আল মোহাম্মদ রাফসানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এ ছাড়া চারজন সহসভাপতি, তিনজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও একজনকে দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আট সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটিতে হুজ্জাতুল খান সভাপতি ও মোস্তাত সরকারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজন সহসভাপতি, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক ও একজনকে প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে আরিফ রব্বানী সভাপতি ও সাজিদ হাসানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। অন্য দুজনের মধ্যে একজনকে সহসভাপতি ও একজনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
আগামী ২১ দিনের মধ্যে এ দুটি ইউনিটকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১২ জুলাই ময়মনসিংহ ছাত্রদলের দক্ষিণ, উত্তর জেলা ও মহানগর আংশিক কমিটি গঠিত হয়। এসব কমিটির মেয়াদ পেরোলেও এভাবেই এত দিন সংগঠনটির কার্যক্রম চলছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র একজন স কম ট ত সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বারের সাবেক ৩ সভাপতিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিগত তিনটি কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ রোববার এ মামলা করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সদস্যরা।
মামলা তিনটি আমলে নিয়ে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
যে ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদার, মাহাবুবুর রহমান ও মিজানুর রহমান মামুন; সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, আনোয়ার শাহাদাত শাওন ও ফিরোজুর রহমান (মন্টু); সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল কালাম আক্তার হোসেন ও সহসভাপতি প্রাণ নাথ; কোষাধ্যক্ষ নূর হোসেন, ওমর ফারুক ও বিবি ফাতিমা।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক তিনটি কমিটির ১১ নেতার বিরুদ্ধে ঢাকা বারের অ্যানেক্স–৩ ও অ্যানেক্স–৪ নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে বর্তমান কমিটি। মূলত ভবন নির্মাণব্যয় নিয়ে স্বনামধন্য অডিট কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বারের ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ‘টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি’ জানার পর সাধারণ আইনজীবীরা সংক্ষুব্ধ। ন্যায়বিচারের জন্য ঢাকা বারের বর্তমান অ্যাডহক কমিটি মামলা করেছে।