এলইডি প্রযুক্তির বাতি তৈরি করে সুপার স্টার
Published: 15th, May 2025 GMT
প্রশ্ন:
দেশের বৈদ্যুতিক বাতির বাজারে সুপার স্টারের অংশীদারত্ব কত?
আব্দুল্লাহ আল মামুন: বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক বাতির বাজারে সুপার স্টার একটি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড। আলোর খাতে, বিশেষ করে ইনডোর ও বেসিক লাইটিং শ্রেণিতে সুপার স্টার গ্রুপের মার্কেট শেয়ার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে।
প্রশ্ন:সুপার স্টার বৈদ্যুতিক বাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী?
আব্দুল্লাহ আল মামুন: সুপার স্টারের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীই নয়, একই সঙ্গে টেকসই এবং নিরাপদ। সর্বাধুনিক এলইডি প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে দীর্ঘস্থায়ী আলো পাওয়া যায়, যা দীর্ঘ সময় জ্বললেও অতিরিক্ত গরম হয় না। পণ্যের মান নিশ্চিত করতে প্রতিটি বাতি কঠোর গুণগত মান পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। সাধারণ বাসাবাড়ির আলোকসজ্জার পাশাপাশি সুপার স্টার এখন প্রফেশনাল লাইটিংয়ের দিকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। আধুনিক সময়ের অন্দরসজ্জা, বাণিজ্যিক, শিল্প খাত ও প্রকল্পভিত্তিক আলোকসজ্জা যেমন শপিং মল, অফিস, গার্মেন্টস, ওয়্যারহাউস, রাস্তাঘাট ও বিশেষ স্থাপনা—এসব জায়গায় টেকসই এবং স্মার্ট আলোর সমাধান দিচ্ছে সুপার স্টার।
প্রশ্ন:কবে থেকে বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করেন?
আব্দুল্লাহ আল মামুন: সুপার স্টারের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৪ সালে, ইনক্যান্ডিসেন্ট বা আইআর বাল্ব দিয়ে। শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানটি দেশেই বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি শুরু করে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এলইডি প্রযুক্তিতে রূপান্তর ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি আজ একটি পূর্ণাঙ্গ আলো সমাধানদাতা হিসেবে পরিচিত।
প্রশ্ন:একজন ক্রেতা কেন সুপার স্টারের বাতি কিনবেন?
আব্দুল্লাহ আল মামুন: বাজারে অনেক ব্র্যান্ড থাকলেও, সুপার স্টারকে বিশেষ করে তোলে এর পণ্যের গুণমান, সহজলভ্যতা এবং বিক্রয়োত্তর সেবা। একজন সচেতন ক্রেতা সুপার স্টারের পণ্য বেছে নেন কারণ—
এটি একটি নির্ভরযোগ্য দেশীয় ব্র্যান্ড।
পণ্যের মান এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উৎকর্ষতা।
সাধারণ থেকে প্রফেশনাল—সব ধরনের আলো সমাধানে দক্ষতা।
দেশজুড়ে পরিবেশক এবং সেবাকেন্দ্র।
দীর্ঘস্থায়ী।
প্রশ্ন:বৈদ্যুতিক বাতি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আব্দুল্লাহ আল মামুন: সুপার স্টারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল ও লাইটিং শিল্পে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানো। এর অংশ হিসেবে আধুনিক স্মার্ট লাইটিং প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ, দেশের বাইরে রপ্তানি বাজারে প্রবেশ এবং পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা এবং স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতেও সুপার স্টার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আলোকিত আগামী—এই স্লোগানেই সুপার স্টার প্রতিনিয়ত দেশকে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে চায়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন
হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, এসএসজি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ময়লা ফেলে পরিত্যক্ত জায়গা দেখিয়ে পুকুর ভরাট, ১০ জনকে আসামি করে মামলা
ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুরে প্রথমে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিত্যক্ত জায়গার মতো তৈরি করা হয়। এরপর টানা চার থেকে পাঁচ মাস রাতের আঁধারে বালু ফেলে পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা পেয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।
ঘটনাটি ঘটেছে বিয়ানীবাজার উপজেলার ফতেপুর মৌজার নবাং গ্রামে। গত সোমবার মামলাটি করা হয়েছে। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানাজানি হয়েছে। ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার নবাং গ্রামের আবদুর রশীদ, আবদুস সবুর, আবদুল হাই, আবদুল ফাত্তাহ, করিমুন নেছা, ফয়সল আহমদ ও জয়নাল মিয়া; মাটিজুরা গ্রামের ফরিদা ইয়াসমিন, সুপাতলা গ্রামের সাহাব উদ্দিন সাবু এবং মাথিউরা গ্রামের শাহিনুল ইসলাম। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ধারা ৬(ঙ) লঙ্ঘন করায় মামলাটি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযোগ পেয়ে ১৯ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুকুর ভরাটের সত্যতা পান। এ অবস্থায় পুকুর ভরাট বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট একজনকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরও রাতের আঁধারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পুকুর ভরাটের কাজ অব্যাহত রাখেন। এ অবস্থায় ৮ মে রাত ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুর ভরাটে বাধা দেন। এ সময় পুকুর ভরাটে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক নিয়ে চালকেরা পালিয়ে যান; তবে দুটি মোটরসাইকেল রেখে যান। উপস্থিত লোকজন মোটরসাইকেলগুলো বিয়ানীবাজার থানায় নিয়ে যান। গত শনিবার বাদী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুকুর ভরাটের সত্যতা পেয়ে থানায় মামলা করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, পুকুরটি বড় ও গভীর ছিল। জমির মালিকেরা ইচ্ছে করে সেখানে ময়লা ফেলে অংশবিশেষকে পরিত্যক্ত করে ধীরে ধীরে ভরাটের উপযোগী করেন। চার থেকে পাঁচ মাস ধরে রাতের অন্ধকারে পুকুরটি ভরাট করেছেন তাঁরা।