৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারল ‘এ’ দল
Published: 17th, May 2025 GMT
নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচের শেষ দিনে শেষ সেশনে যখন বৃষ্টি ঝরল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, তখনো ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
অন্তত ২৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় হারের অবস্থানে ছিল না কোনোভাবে। এরপর এক পশলা বৃষ্টি। হুট করে আকাশ ফকফকা। এরপর মাঠে নামা। নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের ধ্রুপদী বোলিংয়ে এবার কোণঠাসা স্বাগতিক শিবির। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়।
৩১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া। শেষ ৪ উইকেট হারাল মাত্র ৫ রানে। তাতে ৭০ রানের বিশাল পরাজয়কে সঙ্গী করলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ২৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৭৫ রানে।
আরো পড়ুন:
নাসুমকে দুবাই পাঠাল বিসিবি
ক্যালির সেঞ্চুরিতে সিলেটে চাপে সোহানরা
দলীয় ৯৪ রানে ফিফটি ছোঁয়া জাকির হাসান (৫০) আউট হলে সোহান ও অঙ্কন দলের হাল ধরেন। দুজন ড্রয়ের পথে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পণ করেন। তাদের ব্যাটিং ছিল ধীর স্থির। আলগা কোনো শট খেলছিলেন না। কিন্তু, বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে সোহান পথ ভোলেন লেনক্সের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। এরপর বাকিদের আসা-যাওয়া শুরু।
নাঈম হাসানকে ফেরান অশোক। এই লেগ স্পিনার একই ওভারে তুলে নেন হাসান মুরাদ ও আনামুল হকের উইকেট। ইবাদতকে ফিরিয়ে তুলে নেন ফাইফার। স্বাগতিক শিবিরে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেনে লেনক্স।
অশোকের ৫ ও লেনক্সের ৩ উইকেটে চারদিনের ম্যাচে দারুণ এক জয় পায় নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে এনামুল ৮ বলে ১৬ রান করে বাজে শট খেলে বিদায় নেন। হাল ধরতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয় (৪) ও অমিত হাসান (৫)। চারে নেমে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন অঙ্কন। ১৬৭ বলে ৬ চারে ৫৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এর আগে, শনিবার চতুর্থ দিন সকালে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৫ উইকেটে ২১৬ রানে দিন শুরু করা কিউইরা ৪১ রান যোগ করতে শেষ ৫ উইকেট হারায়। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে নাঈম হাসান ৪টি ও হাসান মুরাদ ৫ উইকেট পেয়েছেন। তাতে অতিথিরা লিড পায় ২৪৫ রানের। যা স্বাগতিক দলের ওপর চাপ হয়ে আসে।
দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিরিজের দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ শুরু হবে ২১ মে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট হ র
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’