মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের দুই নেতাকে আটক করেছে সদর থানা-পুলিশ। মামলা থেকে অব্যাহতির দেওয়া কথা বলে টাকা আদায়, পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে আজ বুধবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা হলেন- পৌরসভার উত্তর সেওতা এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে মেহেরাব খান ও শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় রজ্জব মোল্লার ছেলে আশরাফুল ইসলাম রাজু। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মানিকগঞ্জ জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব পদে ছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘মানিকগঞ্জ নিউজ’, ‘AMRAI MANIKGANJ’, ‘আমাদের প্রাণের মানিকগঞ্জ’ ও ‘টাঙ্গাইলের সব খবর’ নামে অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তিরা ফেসবুক পেজ খোলেন। এসব পেজের অ্যাডমিনদের সঙ্গে যোগসাজশে গ্রেপ্তার দুই ছাত্র প্রতিনিধি জেলা শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার মো.

আনিসুর রহমান ওরফে সাব্বিরের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তবে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা আনিসুরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। চাঁদা দাবির বিষয়টি সদর থানার পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথভাবে তদন্ত করে দুই ছাত্র প্রতিনিধির সংশ্লিষ্টতা পায়। পরে আজ সকালে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর আজ বুধবার ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান বাদী হয়ে আটক দুজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। 

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মানিকগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ওমর ফারুক বলেন, ‘মেহেরাব ও রাজু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিব ছিলেন। পরে তারা পদত্যাগ করেন। চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সদর থানার ওসি বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে মেহেরাব এবং রাজুর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ ম ন কগঞ জ সদর থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

একটি দলের কারণে মৌলিক সংস্কার আটকে যাচ্ছে: আখতার

শুধু একটি রাজনৈতিক দলের কারণে ঐক্যমত কমিশনে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবনা আটকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহীতে জুলাই পথযাত্রা শেষে এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, “ঐকমত কমিশনে সংস্কারের আলোচনা চলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন মৌলিক সংস্কারের পক্ষে সবাই এক হয়ে যায়, তখন একটি দলের কারণে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবনা ঐক্যমত কমিশনে আটকে যায়।”

আরো পড়ুন:

চিপায় পড়ে ডিসি-এসপিরা ভাল ব্যবহার করছেন: হাসনাত

উপাচার্যরা দায়িত্ব চেয়ে নেননি, হাতে-পায়ে ধরে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

দলটিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “ঐক্যমত কমিশনে মৌলিক সংস্কারকে আটকে দিতে পারবেন, জুলাই সনদকে আটকে দিতে পারবেন। কিন্তু জনগণের কাছে সংস্কারের কথা আসলে জনগণ অবশ্যই সেই সংস্কার বাস্তবায়ন করে ছাড়বে, ইনশাআল্লাহ। এ দেশের সংস্কার হবেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা যখন সংস্কারের কথা বলছি। ঠিক ওই সময় ওরা বলে, রাজনীতিতে নাকি আবেগের জায়গা নেই। আমরা বলি- জনগণের ন্যায়সংগত আবেগকে বাস্তবে রূপ দেওয়া আমাদের রাজনীতি। জনগণের মধ্যে আবেগ এসেছিল বিধাই স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল। জনগণের শক্তিকে ভুলে যাবেন না। জনগণের চাওয়াকে ছোট করে দেখবেন না।”

এনসিপির এই নেতা বলেন, “জনগণের মধ্যে আবেগ এসেছিল বলেই কোনো অস্ত্র ছাড়াই খালি হাতে ওই আওয়ামী সন্ত্রাসীকে তারা মোকাবিলা করেছিল। জনগণের চাওয়াকে বাস্তবায়নের রাজনীতি বাংলাদেশে করতে হবে, এটাই জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা। এর বাইরে কোনো রাজনীতি দেশের মানুষ, রাজশাহীর মানুষ হতে দেবে না।”

“বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদের দাবিতে আমাদের যে পদযাত্রা চলছে, সেই পদযাত্রার পক্ষে গোটা উত্তরাঞ্চলে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। যারা আমাদের ছোট পার্টি বলতে চায়, তারা এসে দেখুক কত মানুষ এনসিপির রাজনীতি করার জন্য অপেক্ষা করছে। এই পার্টি সবার পার্টি,” ‍যুক্ত করেন আখতার।

এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ