গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে সাধারণ পরিষদে ভোট
Published: 12th, June 2025 GMT
গাজায় তাৎক্ষণিক, নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বৃহস্পতিবার
একটি খসড়া প্রস্তাবের উপর ভোট দেবে। গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একই ধরণের প্রচেষ্টায় ভেটো দেওয়ার পর এই উদ্যোগ নিয়েছে সাধারণ পরিষদ।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদ সম্ভবত বিপুল সমর্থনের সাথে এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে। ইসরায়েল চলতি সপ্তাহে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, প্রতি-উৎপাদনশীল প্রহসন’ বলে অভিহিত করে এই অধিবেশনে দেশগুলোকে অংশ নেওয়ার বিরুদ্ধে লবিং করেছে।
সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাধ্যতামূলক নয়। তবে যুদ্ধের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয় একে।
বৃহস্পতিবারের ভোটটি আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের একটি সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই যার লক্ষ্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ পুনরুজ্জীবিত করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশগুলোকে সম্মেলনে যোগদান না করার জন্য অনুরোধ করেছে।
রয়টার্সের হাতে আসা একটি নোটে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘যেসব দেশ সম্মেলনের আগে ইসরায়েলবিরোধী পদক্ষেপ নেবে তাদের মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থের বিরুদ্ধে কর্মরত হিসেবে দেখা হবে এবং তাদের কূটনৈতিক পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।’
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৫৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হলেও তাতে ভেটো দিয়েছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র প রস ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী লাঠি ও পাতা খেলা। শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল নাগরদোলা ও নৌকাদোল।
মেলা উপলক্ষে নতুন জামাই ও আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ জানানো হয় আশপাশের কয়েকটি গ্রামে। বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের ধুম পড়ে। এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেয়েজামাই। তারা একসঙ্গে কেনাকেটা করেন। বাঁশ, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতা। ছিল নারীদের প্রসাধনীর দোকানও।
এদিন অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টির দোকানগুলোয় ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। হরেক রকমের মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানি। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তালের শাঁসসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করতে দেখা যায়। চটপটি, বারোভাজা ও ফুসকার দোকানেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শিশু-কিশোরদের বাজানো বাঁশির শব্দ ছিল পুরো এলাকায়। মেলায় কথা হয় পাল্লাপাড়া গ্রামের জামাই মোরশেদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে বিয়ে করেছেন এলাকায়। কয়েকদিন আগে ঈদের দাওয়াতে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। এদিন আসেন জামাই মেলা উপলক্ষে।
মেলায় সকালে মাছ ও মাংসের দোকান বসে। বিকেলে ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নামে। শিশু-কিশোরদের হাত ধরে মেলায় ঘুরতে আসেন অভিভাবকসহ স্বজনরা। শিশুদের বায়না মেটাতে হিমশিম খেতে হয় অনেককে।
আয়োজকদের অন্যতম সাবেক কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক বলেন, ৩৫ বছর থেকে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার জামাইদের দাওয়াত করা হয় বলে এটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত। এ মেলা এখন এলাকার ঐতিহ্য।