পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে কয়লা বোঝাই ট্রাক খালে পড়েছে। এতে সন্ন্যাসী-পিরোজপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছ। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বাঘার চন্ডিপুর বাজার সংলগ্ন মালবাড়ী ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ওই সড়কে সবধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, ব্রিজটিতে পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড থাকলেও এ নির্দেশনা কেউ মানেনি। এ সড়কে আরও তিনটি এমন ঝুঁকিপূর্ণ  স্টিলের ব্রিজ আছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খোলপটুয়া আরওয়ান ব্রিকসএ ট্রাক  বোঝাই করে কয়লা নেওয়ার সময়  ব্রিজ ভেঙ্গে ট্রাকটি খালে পড়ে যায়। ট্রাকে ২০ মেট্রিক টন কয়লা ছিল।

চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মঞ্জু জানান, ব্রিজটি দ্রুত মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরওয়ান ব্রিকসের মালিক মারুফ বিল্লাহ জানান, খুলনার নওপাড়া থেকে ২০ মেট্রিক টন কয়লা ট্রাকে করে পাঠানো হয়। ব্রিজটি ঝুকিপূর্ণ দেখেও চালক ট্রাক নিয়ে ব্রিজে উঠলে ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। শুক্রবার সকাল সাড় আটটা পযৃন্ত ট্রাকটি উদ্ধারের কোন কার্য়ক্রম শুরু হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ব র জট

এছাড়াও পড়ুন:

মহাসড়কের পাশে হাট-বাজার, বাড়ছে দুর্ঘটনা ঝুঁকি

মৌলভীবাজার জেলা সদরে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে হাট-বাজার। এতে পথচারীকে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে। এসব অবৈধ হাট-বাজার উচ্ছেদে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে শেরপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বর পর্যন্ত সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অন্তত ৯টির অধিক ছোট-বড় বাজার গড়ে ওঠেছে। এগুলোর মধ্যে নয়াব্রিজ (ত্রৈলক্ষবিজয় বাজার), সরকার বাজারের নতুন অংশ, আফরোজগঞ্জ বাজার (শেরপুর বাজার), কাজির বাজার প্রসিদ্ধ। এসব হাট-বাজারের দোকানিরা ফুটপাত দখল করে মহাসড়ক ঘেঁষে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে হাট-বাজারে আসা মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। 

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বেকামুড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুল হক পান্না জানান, মৌলভীবাজার শহরের বেরীরপাড়, কুসুমবাগ পয়েন্ট থেকে শুরু করে শেরপুর বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ফুটপাত ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। বিশেষ করে শেরপুর বাজার, সরকার বাজার ও নয়াব্রিজ বাজারে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সাধারণ মানুষকে নিরুপায় হয়ে মহাসড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে। 

সিলেট মিনিবাস মালিক সমিতির শেরপুর বাজার স্ট্যান্ডের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর খান বলেন, শেরপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের দুই পাশে মহাসড়কের অর্ধেক অংশজুড়ে থ্রি হুইলার ও ভাসমান দোকানিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক ধরে চলতে হচ্ছে পথচারী ও আশপাশের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। তিনি জানান, গত কয়েক বছরে শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শেরপুর ও নয়াব্রিজ বাজার বিভিন্ন এলাকার মানুষের ট্রানজিট পয়েন্ট হওয়ায় সব সময় লোকসমাগম বেশি থাকে। এ কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী যানবাহন মহাসড়কে যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এতে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

শেরপুর বাজার ইজারাদার মাজহারুল ইসলাম রকি জানান, মহাসড়কের পাশে বারবার দখলদার উচ্ছেদ হয়েছে। ফের দখলদারিত্ব কায়েম রোধ হয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সতর্ক থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ সমকালকে বলেন– শেরপুর, সরকার বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে এর আগে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই সব বাজারে সওজের জায়গা দখলমুক্ত করতে সার্ভে করা হয়েছে। শিগগিরই অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মহাসড়কের পাশে হাট-বাজার, বাড়ছে দুর্ঘটনা ঝুঁকি