পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে নিয়ে পড়েছে কয়লাবোঝাই ট্রাক। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের বাঘারহাট চণ্ডিপুর বাজারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পিরোজপুর-সন্ন্যাসী আঞ্চলিক সড়কের ওই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেখানে পাঁচ টনের বেশি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ দিয়ে রেখেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। কিন্তু ট্রাকটিতে ২০ টন কয়লা ছিল বলে জানা গেছে। 

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ট্রাকটিতে করে ২০ টন কয়লা নেওয়া হচ্ছিল আরওয়ান ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায়। সেটি বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে বাঘারহাট চণ্ডিপুর বাজারের কাছের বেইলিব্রিজে উঠে। মাঝামাঝি গিয়েই পুরো ব্রিজসহ ট্রাকটি নিচের মালবাড়ী খালে পড়ে যায়।

আরওয়ান ব্রিকসের মালিক মারুফ বিল্লাহর ভাষ্য, তার ভাটার জন্য খুলনার নওপাড়া থেকে ২০ টন কয়লা ট্রাকে করে পাঠানো হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দেখেও চালক ট্রাক নিয়ে সেটিতে উঠে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তার সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মঞ্জুর ভাষ্য, ওই সেতু ভেঙে যাওয়ার কলারণ ফেরিঘাট থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, একই সড়কে এমন আরও তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ আছে। এগুলো ফকিরহাট, চণ্ডিপুর মিলবাড়ী ও ১ নম্বর পাড়েরহাট ইউনিয়নের চালনায় অবস্থিত। সবগুলো সেতুই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে নির্মিত। দীর্ঘদিন আগেই এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। কিন্তু জোড়াতালি দিয়ে চলছে যানবাহন। গার্ডার বসিয়ে এসব জায়গায় সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা থাকলেও বাস্তবে তা হয়ে ওঠেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মদ আলী জানান, সওজের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়লাবোঝাই ট্রাকটি ওই সেতুতে উঠে পড়েছিল। সেটি ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। এ বিষয় পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

পিরোজপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর  আহম্মেদ জানিয়েছেন, তারা ট্রাকটি উঠানো ও সেতুটির সংস্কারে চেষ্টা করছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ২০ টন

এছাড়াও পড়ুন:

মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক সংস্কারে কাজ শুরু  

বন্দরে বেহাল মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক সংস্কারে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল টালবাহানা। দুর্ঘটনা, যানজট ও তীব্র জনদুর্ভোগের পরও সড়কটি নিয়ে ছিল না কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোনো উদ্যোগ।

তবে অবশেষে ছাত্র-জনতার টানা আন্দোলনের মুখে রোববার থেকে সংস্কার কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। গর্তে পড়ে মানুষ আহত হওয়ার ঘটনাসহ সড়কে চলাচল অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় এই প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা।

সড়ক অবরোধের একপর্যায়ে সড়ক ও জনপথ এর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরুর আশ্বাস দেন।

তবে সংস্কার কাজ শুরু হলেও তা মানসম্পন্ন নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বড় বড় গর্তে কেবল ইট ফেলে ‘জোড়াতালি’ মেরামত চলছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। 

কারণ, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই ওভারলোডিং সিমেন্ট কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভারি যানবাহন চলাচল করে। ফলে শুধু ইট বিছিয়ে কোনো টেকসই সমাধান আসবে না বলেই মনে করছেন সবাই।

এদিকে আন্দোলনের সময় রাস্তার পাশে বাঁধ নির্মাণের দাবিও উঠে আসে, যা বাস্তবায়নে আশ্বাস দিয়েছে আশপাশের কয়েকটি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে আন্দোলনকারীদের একটাই দাবড়িয়ে সড়কে মানসম্পন্ন, টেকসই এবং পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প নেই। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক সংস্কারে কাজ শুরু