পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা
Published: 21st, June 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ থেকে ১৯ জুন) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৪৫০ কোটি ৫ লাখ টাকা।
শনিবার (২১ জুন) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫.
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি ৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৬৪ কোটি ৫ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৪টির, দর কমেছে ১৫৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২ টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩১ পয়েন্ট বা ০.৯৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৭০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.১৪ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.১০ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ১১০ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৮৮ শতাংশ বেড়ে ৮৫২ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৩৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩০১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ২৯৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, দর কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম লধন ব ড় ছ ব জ র ম লধন আর ব দ ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসিকে প্রযুক্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা দেবে এএসআইসি
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসির) প্রযুক্তিগত উন্নয় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন (এএসআইসি)।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বুধবার (১৮ জুন) বিএসইসির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী, অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে এএসআইসির সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএসইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী মুখপাত্র মো. মোহাইমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক-বিএসইসির বৈঠক
সূচক ডিএসইতে কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে পুঁজিবাজারে রিয়েল-টাইম নজরদারি ব্যবস্থা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং নির্ভর ডেটা অ্যানালিটিক্স টুলস বাস্তবায়নসহ উন্নত প্রযুক্তি সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া, বাজারে সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সুপটেক (সুপারভাইজরি টেকনোলজি) ও রেগটেক (রেগুলেটরি টেকনোলজি) এর প্রয়োগ, বিশেষ করে এক্সবিআরএল ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ঝুঁকি বিশ্লেষণ এবং রিপোর্টিং ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় হয়।
বৈঠকে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এএসআইসির সহায়তায় বিএসইসির বর্তমান গভর্নেন্স কাঠামো পর্যালোচনা, বিশেষ করে অতীতে ঘটে যাওয়া ইনসাইডার ট্রেডিং, তথ্য ফাঁস ও কারসাজির মতো অনিয়ম চিহ্নিত করার বিষয়েও সহযোগিতা চান। একইসঙ্গে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো তৈরিতে সহায়তা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণে এএসআইসির সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এএসআইসিরর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে গভীর আগ্রহ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ একটি যৌথ সহযোগিতা কাঠামো গঠনের বিষয়ে সম্মত হয় এবং শিগগিরই উভয় পক্ষ তাদের নিজ নিজ ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করবে বলেও জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের (এএসআইসি) পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জেরার্ড ফিটজপ্যাট্রিক, মার্কেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ লিডার বেন কোন-উরবাখ, অ্যালিসা ফ্রেডেরিক, বেলিন্ডা স্যান্ডোনাটো সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সিডনিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ হাই কমিশনের (ক্যানবেরা) বাণিজ্যিক কাউন্সিলর রনি চাকমা, সাবেক ডিএসই এমডি তারিক ভূঁইয়া, চেয়ার, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ফয়েজ দেওয়ান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী