জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূল অবসর
Published: 22nd, June 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৬৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ রোববার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে ধানমন্ডির নগর কার্যালয়ে সিন্ডিকেটের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসরে পাঠানো হয়।
২৫ বছর চাকরির মেদায় হওয়ায় ঐচ্ছিক অবসর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কোনো কর্মচারীকে অবসর প্রদান করার বিধান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি সংবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করে চাকরি সংবিধি সংশোধন করার প্রস্তাব সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় অনুমোদিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিনেট অধিবেশনে অনুসমর্থিত হওয়ায় উক্ত বিধি অনুযায়ী সিন্ডিকেট এই ২০ শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে অবসর প্রদান করেছে।
যাঁরা বাধ্যতা অবসর পেলেন
অধ্যাপক ড.
সিন্ডিকেট সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম তালুকদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রারসহ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ২৬৫তম সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপ র জ স ট র র ম কর মকর ত ক ব ধ যত
এছাড়াও পড়ুন:
সংবর্ধনা দিয়ে ৩৭ বছরের ইমামকে বিদায়
খুলনা মহানগরীর পশ্চিম টুটপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুস সালামকে আয়োজন করে সংবর্ধনা দিয়ে বিদায় দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে তাকে পাগড়ি পরিয়ে ও ফুলেল শুভেচ্ছায় বিদায় জানানো হয়। দীর্ঘ ৩৭ বছর ৮ মাস ধরে ইমামতির দায়িত্ব পালন শেষে ৮৫ বছর বয়সে অবসরে গেলেন তিনি।
বিদায়ের দিন জুমার নামাজ শেষে মসজিদে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। দীর্ঘ দিনের ইমামকে হারানোর বেদনায় বহু মুসল্লির চোখ ভিজে ওঠে।
আরো পড়ুন:
জাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান দাবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেবে মডেল মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা
মাওলানা আব্দুস সালাম ১৯৮৭ সালে পশ্চিম টুটপাড়া জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগ দেন। এরপর থেকে একনিষ্ঠভাবে ইসলামের দাওয়াত ও নামাজের ইমামতি করে গেছেন তিনি।
মাওলানা আব্দুস সালাম খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেছেন। প্রায় ১৫ বছর আগে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিলেও মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন। বয়সজনিত নানা শারীরিক জটিলতা এবং দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে অক্ষম হয়ে পড়ায় এবার অবশেষে দায়িত্ব থেকে অবসর নিলেন তিনি।
টুটপাড়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আবুল খায়েরের উপস্থাপনায় মাওলানা আব্দুস সালামের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার দারুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা মোসতাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুফতি জিয়াউর রহমান। মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য খান আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম টুটপাড়া জামে মসজিদের মোতাওয়ালি¬ এস এম শামছুল আরিফ, ইসলামিয়া জামে মসজিদের সভাপতি কামরুল ইসলাম।
নামাজ শেষে মাওলানা আব্দুস সালাম সবার কাছে দোয়া চান। তিনি বলেন, ‘‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারছি না। আল্লাহ যেন আমাকে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার তৌফিক দেন, সবার কাছে সেই দোয়া চাই।’’
এরপর তাকে ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে টুটপাড়া এলাকায় শোভাযাত্রা করে ঘোরানো হয়। মোটরসাইকেল বহরসহ মুসল্লিরা তাকে নগরীর ছোট খালপারের বাসায় পৌঁছে দেন। এই ব্যতিক্রমী আয়োজন এলাকাবাসী অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।
মুসল্লিরা বলেন, ‘‘প্রায় চার দশকের ইমামতি জীবনে মাওলানা আব্দুস সালাম শুধু মসজিদের দায়িত্বই পালন করেননি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন এলাকার আস্থার প্রতীক। তার মৃদু স্বভাব, আন্তরিকতা ও ধর্মীয় প্রজ্ঞা মুসল্লিদের কাছে তাকে একজন অভিভাবকের আসনে বসিয়েছিল।’’
টুটপাড়া জামে মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘‘এই ইমামের কাছে পুরো এলাকাবাসী কৃতজ্ঞ। হাজার হাজার মানুষকে তিনি ধর্মীয় শিক্ষা দিয়েছেন। ইসলামের পথে আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের সমাজে ইমামদের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। তাই আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে উদাহরণ স্থাপন করতে চেয়েছি।’’
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল