সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ল
Published: 22nd, June 2025 GMT
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৫) বাজেট পাশ করেছে সরকার। চাকরিরতদের নূন্যতম বিশেষ সুবিধা ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের নূন্যতম বিশেষ সুবিধা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে।
রবিবার (২২ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান ও অর্থ বিভাগের সচিব ড.
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটের তিনটি জায়গায় পরবর্ত করে, বাজেটের বাকি অঙ্কগুলো অপরিবর্তি রেখে বাজেট পাশ করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ৪৪ উপজেলায় হচ্ছে পাবলিক লাইব্রেরি
৫ আগস্ট সরকারি ছুটি: ফারুকী
তিনি বলেন, “ইতঃপূর্বে ঘোষিত সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা চাকরিরতদের জন্য ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। নিট পেনশন ১৭ হাজার ৩৮৮ টাকার ঊর্ধ্বে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং নিম্নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী, বিচারপতি এবং এমপিওভুক্তদের ক্ষেত্রে পৃথক আদেশ করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।”
এর আগে ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীর সামনে তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা। পরের দিন ৩ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন করি করে জানানো হয়, সরকারি কর্মকর্তা, কবর্মচারীরা আগামী ১ জুলাই থেকে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রথম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডের কর্মচারীরা প্রতি বছর তাদের মূল বেতনের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ পাবেন এবং দশম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ।
কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন প্রদেয় পরিমাণ হবে এক হাজার টাকা। পেনশনভোগীদের জন্য ৫০০ টাকা। অর্থাৎ এখন চাকরিরতের নূন্যতম বিশেষ সুবিধা ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের নূন্যতম বিশেষ সুবিধা ২৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাশ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়েল ৩ জুনের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, অবসর-উত্তর ছুটিতে থাকা (পিআরএল), বরখাস্তকৃত কর্মচারী (তাদের শেষ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ) ও কিছু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে।
তবে যারা বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন বা যাদের পেনশনের সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক নিয়েছেন, তারা এই সুবিধার আওতায় আসবেন না। রাজস্ব বাজেটের বাইরে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এই সুবিধার খরচ তাদের নিজস্ব বাজেট থেকেই বহন করতে হবে।
এদিকে, নতুন অর্থবছরের বাজেটে আরো দুটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে সামাজিক নিরাপত্তাবেস্টনী। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “২০২৫-২৬ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী খাতে সুপারিশ করা ৮১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকার পরিবর্তে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে ছিল ৯০ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা। অবসর ভাতা ও সঞ্চয়পত্রের সুদ এতে অন্তর্ভুক্ত নেই।
“এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে রপ্তানি নির্ভর প্রণোদনা ধীরে ধীরে প্রত্যাহারের তৃতীয় ধাপ হিসাবে হ্রাসের কার্যক্রম আগামী ১ জুলাই ২০২৫ এর পরিবর্তে ১ জানুয়ারি ২০২৬ করা হয়েছে,” বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন ন যতম ব শ ষ স ব ধ প নশনভ গ দ র র প রস ত ব কর মকর ত ৫০০ ট ক ন অর থ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কলেজে শিক্ষা কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত
অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন আবেদনে শিক্ষা কোটা–২–এর ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন স্থগিতাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সব কলেজ অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১০ আগস্ট আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি কর্তৃক জারি করা ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন আবেদনে এডুকেশন কোটা–২ (ইকিউ–২) স্থগিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পাঠানো হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষা কোটায় ভর্তিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে শিক্ষা ক্যাডারদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত কোটা ঘিরে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে।
আরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণি: ভর্তিতে ‘শিক্ষা কোটায়’ অনিয়ম১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা (শিক্ষা কোটা–১) এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি স্কুল–কলেজ ও কার্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য আরও ১ শতাংশ কোটা (শিক্ষা কোটা–২) রাখা হয়েছে। তবে পৃথক কোটা হওয়া সত্ত্বেও অধীন দপ্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সন্তানদের অনেকেই শিক্ষা কোটা–১–এ আবেদন করে নির্বাচিতও হয়েছে। পরে এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এবার স্থগিত করা হয়েছে আগের সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুনকিউএস গ্লোবাল এমবিএ র্যাঙ্কিং ২০২৬: শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস স্কুলগুলো২ ঘণ্টা আগে