নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে ১৪৭টি রাজনৈতিক দল। রোববার নতুন রাজনৈতিক দলের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত  আবেদন জমা দিয়েছে দলগুলো। সোমবার ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আবেদনকারী রাজনৈতিক দলের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।

ইসি জানিয়েছে, প্রথম দফায় আবেদনের সময়সীমা ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬৫টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিল। বর্ধিত সময়সীমা ২২ শে জুন পর্যন্ত আরও ৮২টি দল আবেদন জমা দেয়। এ নিয়ে মোট আবেদনকারী দলের সংখ্যা দাঁড়ায়১৪৭টি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে নির্বাচন কমিশন। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল। এরপর এনসিপিসহ ৪৬টি দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে দলের নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা ২ মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বর্ধিত সেই সময় শেষ হয়েছে রোববার।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। সম্প্রতি নিবন্ধন স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। আর আদালতের আদেশে নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

ইসিতে যারা আবেদন করেছে: রোববার শেষ দিনে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অর্ধশতাধিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে। এছাড়া আবেদনকারী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, নতুন ধারা বাংলাদেশ (এনডিবি), বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পার্টি, জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিপি), ‎ গণদল, বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বাজপা), বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ সমতা পার্টি;  বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, বাংলাদেশ সিটিজেন পার্ট, ইসলামী ঐক্যজোট,  নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি), বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা পার্টি, বাংলাদেশ গণবিপ্লবী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাষানী ন্যাপ), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ফেডারেশন, জনতার দল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল),  বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (বিসিপি), জাতীয় ন্যায়বিচার পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিডিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ জনজোট পার্টি বাজপা) ইত্যাদি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইস র জন ত ক দল ন বন ধ ন র জন

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিবির খসড়া ভোটার তালিকায় কারা আছেন, কারা নেই

বিসিবির নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা ছিল গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর। অনেক ঘটনার পর সেটি অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে আজ সন্ধ্যায়। খসড়া ভোটার তালিকা এক দিন দেরিতে প্রকাশ করায় নির্বাচনী তফসিলও সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিসিবির নির্বাচন হবে পূর্বনির্ধারিত ৬ অক্টোবরই।

বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন। ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।

বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাউন্সিলর মিলিয়ে নির্বাচনে মোট ১৯২ জন ভোটার থাকার কথা থাকলেও খসড়া ভোটার তালিকায় সিলেট, নরসিংদী, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কারও নাম নেই। এ ছাড়া তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেটের অনিয়ম নিয়ে দুদকের তদন্তে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সুপারিশ থাকায় বাদ দেওয়া হয়েছে ১৫টি ক্লাবকে। ক্লাবগুলো হলো এক্সিওম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমি, মোহাম্মদপুর ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমি, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমি, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমি, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব ও আলফা স্পোর্টিং ক্লাব।

কাউন্সিলর হয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন

সম্পর্কিত নিবন্ধ