মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের দেখতে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ইশরাক হোসেন। সেখানে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

‘ফ্যাসিস্টের দোসররা’ এই হামলা চালিয়েছে অভিযোগ করে ইশরাক হোসেন বলেন, যখন নাগরিক সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন থেকেই প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে এটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা শুরু করে। সব বাধা অতিক্রম করে সেবা চালু করা হয়। এরপর গত দুদিন সুন্দরভাবে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় নগরবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। এটি প্রতিপক্ষ সহ্য করতে না পেরে নতুন কায়দায় নিজেদের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে।

আন্দোলনে যাঁরা সামনের সারিতে ছিলেন, তাঁদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে অভিযোগ তুলে ইশরাক বলেন, এটা করে তাঁরা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছেন। একদিকে তাঁর নাম ব্যবহার করে একটি সুষ্ঠু সেবার পরিবেশ বিনষ্ট করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করা, অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের ন্যক্কারজনক হামলার মাধ্যমে একটি বার্তা দেওয়া, যাতে তারা ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দেলনে না আসে।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া ও আরিফুজ্জামান প্রিন্সের নেতৃত্বে নগর ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এঁরা আওয়ামী লীগ আমলের সুবিধাভোগী।

তবে এই দুই কর্মকর্তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গোলাম কিবরিয়া ১৯৯৪ সালে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। বৃহত্তর সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ছাত্রজীবনে তিনি বিএনপিপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের অন্তত ১০টি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরও পড়ুননগর ভবনে ইশরাকের ‘বিরোধী’ পক্ষ সন্দেহে পিটুনি, ছুরি দেখিয়ে সাংবাদিককে হুমকি৭ ঘণ্টা আগে

আর আরিফুজ্জামান বৃহত্তর সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের প্রথম যুগ্ম সম্পাদকসহ বিএনপিপন্থী সংগঠনের একাধিক পদে ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপিপন্থী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সিটি করপোরেশনের কিছু কর্মচারীর আন্দোলনে প্রায় দেড় মাস নগর ভবনে সেবা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল খুলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবন।

আরও পড়ুন৪০ দিন পর খুলল ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন, আংশিক চালু সেবা২৩ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন নগর ভবন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলা সিনেমা নষ্ট করতে একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে: শাকিব

‘বাংলা সিনেমা আজ পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে। সম্মানের সঙ্গে পুরো বিশ্বে চলছে। সেই জায়গা নষ্ট করে দিতে একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। অর্থাৎ যে সিনেমাটা ভালো চলছে সেটাকে টার্গেটে নিয়ে পাইরেসি করা হচ্ছে। আমি বলব এটা শুধু সিনেমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয় এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর সনি সিনেপ্লেক্সে আয়োজন করা হয় ‘তাণ্ডব’ সিনেমার বিশেষ শো। সেখানে উপস্থিত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান।

‘তাণ্ডব’ সিনেমা মুক্তির ২৩ দিন পর প্রথম প্রেক্ষাগৃহে হলে উপস্থিত হয়ে নিজের অভিনয় করা সিনেমাটি দেখলেন শাকিব খান। সিনেমার শুরুর আগে শাকিব বলেন, ‘সেই জাতি সবচেয়ে বেশি উন্নত থাকে যে জাতি সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে যায়। আমাদের সিনেমা ও কৃষ্টি কালচার নিয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছি ঠিক তখনই আমাদের সিনেমা পাইরেসি করে দেওয়া হচ্ছে। ‘বরবাদ’ সিনেমার ক্ষেত্রে আমরা সেটা দেখেছি। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ক্ষেত্রে আরও আগে পাইরেসি করে দেওয়া হলো।’

‘তাণ্ডব’ সিনেমা পাইরেসি হলেও প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শক সিনেমাটি এখনো দেখছে। এজন্য দর্শক ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না শাকিব।

তিনি বলেন, ‘আমি দেশের সিনেমাপ্রেমীদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ, পাইরেসি হওয়ার পরও তারা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখছেন। ফলে এখনো আমাদের সিনেমাটি হাউসফুল যাচ্ছে। এটা দর্শকদের এক ধরণের সংগ্রাম। সিনেমা বাঁচাতে প্রত্যেকটি মানুষকে সোচ্চার হয়ে পাইরেসির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’

এদিন বিশেষ শোতে উপস্থিত ছিলেন ‘তাণ্ডব’ সিনেমার নির্মাতা রায়হান রাফি, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, রেদওয়ান রনি অভিনয়শিল্পী গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, সাবিলা নূর, এ কে আজাদ সেতু, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার, মুকিত জাকারিয়া।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, দীপা খন্দকার, মন্দিরা চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী জেফার রহমান, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোয়াখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
  • আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা, মিছিলের প্রস্তুতি, চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ১৩
  • বাংলা সিনেমা নষ্ট করতে একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে: শাকিব