কোনো রোগী রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন না। গরমের সময় বাড়িঘর, দোকানপাট ধুলোয় ঢেকে যায়। বৃষ্টির সময় কাদাপানিতে জীবন অতিষ্ঠ। এই সড়ক দিয়ে চলাচলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন আবুল হোসেন নামে এক দোকানি। 

দফায় দফায় সময় বাড়লেও বাগেরহাটের দশাআনি-রামপাল-মোংলা সড়কে নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এ কারণে দুর্বিষহ জীবন কাটছে এই সড়কে চলাচলকারী মানুষের। গতকাল বুধবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের দশআনি ট্রাফিক মোড় এলাকায় সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

এলাকাবাসীকে বাঁচাতে হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে আইনের আওতায় আনতে হবে বলে দাবি করেছেন বক্তারা। তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্সের কার্যাদেশ বাতিল করে, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

সরেজমিন দেখা যায়, নির্মাণকাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখা হয়েছে। রাস্তার ওপরে এলোমেলো খোয়া, কিছুদূর পরপর বড় বড় গর্ত। এসব কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। এতে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় জেমিস মল্লিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তা দিয়ে চলাচলের কোনো উপায় নেই। যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩৩ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার বাগেরহাট-রামপাল-মোংলা সড়ক সংস্কারে ৪টি প্যাকেজে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ সালের আগস্টে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৮টি সেতু, ২১টি কালভার্ট, জমি অধিগ্রহণসহ নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি টাকা। প্রথম প্যাকেজে দশআনি থেকে হেলাতলা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্স। দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও প্রতিষ্ঠানটি ১৫ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি। গত ২২ মে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে সড়ক বিভাগ। নতুন ঠিকাদার নিয়োগের জন্য কাজ চলছে বলে জানান সড়ক বিভাগ, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এই সড়কের ৪টি প্যাকেজের তিনটি প্যাকেজের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম প্যাকেজের কাজ দুই দফায় সময় বাড়িয়েও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স; যার কারণে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব গ রহ ট ব গ রহ ট সময় ব ড় এই সড়ক সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন

নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামুইরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি ও ইউএনওর অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় ধামুইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মঙ্গলকোঠা এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীকে মারধর করেন।

গৃহবধূ সামিরন খাতুন বলেন, ‘পৌরসভার লোকজন গাড়িতে করে আমাদের এলাকায় ময়লা ফেলতে এলে এলাকার সবাই মিলে বাধা দিই। বসতবাড়ির আশপাশে ময়লা ফেললে সমস্যা হবে বলে ইউএনওকে ময়লা না ফেলতে এলাকাবাসী অনুরোধ করেন। কিন্তু ইউএনও আমাদের কথা না শুনে আমাকেসহ মিতুকে (অন্তঃসত্ত্বা নারী) নিজেই লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমরা ইউএনওর অপসারণসহ তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ইউএনও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে তুলেছে সবার সামনে। একজন ইউএনওর আচরণ এমন হলে আমরা বিচার কার কাছে পাব?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একটি খাস জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি ওই এলাকায় গেলে এলাকার কিছু লোক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেখানে কয়েকজন অবৈধ দখলদার নারী-পুরুষ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আনসারদের গায়ে হাত তোলেন। নারীদের মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সেখানে কারও গায়ে হাত তোলা হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, আজ মানববন্ধন করে কিছু লোক ইউএনওর বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসায়ীর উপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • নোয়াখালীকে স্বতন্ত্র বিভাগ ঘোষণার দাবিতে ব্লকেড, মানববন্ধন
  • কুমিল্লায় ড্যাবের এক নেতার বিরুদ্ধে আরেক নেতার অনুসারীদের মানববন্ধন
  • গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • সড়কে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, হুমকিতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পরিবেশ
  • খুবির অধীনে মৎস্য বীজ খামার অন্তর্ভুক্তির দাবি
  • খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ধর্ষণ ও প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
  • ফতুল্লার পোস্ট অফিস-শিবু মার্কেট সড়ক সংস্কারে রিয়াদ চৌধুরী