পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার কম হলে ২০০৯ সালের পর কোনো কোম্পানি দেশের শেয়ারবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের অনুমতি পেত না। ২০২১ সালে অন্য সব কোম্পানির মতো এসএমই কোম্পানির জন্য এ সুযোগ অবারিত করা হয়েছে। এখন ৫ কোটি টাকা মূলধনি কোম্পানি চাইলে এ সুযোগ নিতে পারে। এ জন্য ‘কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টরস অফার (কিউআইও)’ নামে পৃথক আইন করা হয়েছে। আইনি বাধ্যবাধকতা কমানো ছাড়াও প্রাথমিক শেয়ার বিক্রির খরচ ও নিয়ম-নীতিতে বহু ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ সুবিধা পেয়ে গত ৫ বছরে ১৫টি কোম্পানি শেয়ার বিক্রি করে ১৪৪ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, আরও সাতটি কোম্পানি মোট সাড়ে ৬২ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছে। এর বাইরে গত বছর দুটি কোম্পানিকে শেয়ার বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়। অবশ্য আইনি জটিলতায় কোম্পানি দুটি এখনও মূলধন সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
মূলধন সংগ্রহ করা এসএমই কোম্পানি
আচিয়া সি ফুডস একটি রপ্তানিমুখী সামুদ্রিক খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটির পুঁজিবাজারে আসার সময় পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩৭.

৩৬ কোটি টাকা। কিআইও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগ্রহ করে আরও ১৫ কোটি টাকা। এ অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে প্রসেসিং সুবিধা সম্প্রসারণ ও রপ্তানিমান উন্নয়নে।
ভেটেরিনারি ওষুধ উৎপাদনে বিশেষায়িত কোম্পানি আল মদিনা ফার্মার পরিশোধিত মূলধন ২০.৪ কোটি টাকা। তারা ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে ওষুধ উৎপাদনে কারখানা সম্প্রসারণ, মানোন্নয়নে। 
জৈব কৃষি উপকরণ এবং ফার্ম ইনপুট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রো অর্গানিকার পরিশোধিত মূলধন ৪৩.৩০ কোটি টাকা। কিআইও থেকে উত্তোলিত ৫ কোটি টাকা খামার পর্যায়ের গবেষণা ও প্যাকেজিং উন্নয়নে ব্যয় করেছে তারা।
দেশীয় রং ও কেমিক্যাল প্রস্তুতকারী বিডি পেইন্টস কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৬২ কোটি টাকা। বাজার থেকে কিআইওর মাধ্যমে উত্তোলন করেছে ১২ কোটি টাকা। নতুন কারখানা ইউনিট স্থাপন ও উৎপাদন সরঞ্জাম ক্রয়ে এ টাকা সংগ্রহ করে।
ক্রাফসটম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ চামড়াজাত পণ্য ও জুতা উৎপাদনে নিয়োজিত। এ প্রতিষ্ঠানটি ২৮ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে বাজারে আসে। কিআইও প্রক্রিয়ায় ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, যা রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজে লাগিয়েছে।
কৃষিবিদ সিড বীজ উৎপাদন ও কৃষি গবেষণাভিত্তিক কোম্পানি। তাদের মূলধন ৩০ কোটি টাকা। কিআইও থেকে তুলেছে ১১.৬ কোটি টাকা। পোলট্রি ও ফিশ ফিড প্রস্তুতকারী কৃষিবিদ ফিড কোম্পানির মূলধন ৪৯.৫০ কোটি টাকা। কিআইও থেকে তারা ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে কারখানা সম্প্রসারণ এবং প্রযুক্তি আপগ্রেড করেছে।
খাদ্য ও কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নিয়োজিত মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টসের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। কিআইও থেকে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে তারা। প্রাণিখাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেকের পরিশোধিত মূলধন ৬৭.১৫ কোটি টাকা। তারা সংগ্রহ করেছে ১০ কোটি টাকা। 
এমকে ফুটওয়্যার নামের জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটির মূলধন ছিল ৪৭.৮৫ কোটি টাকা। কিআইওর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে ডিজাইন ও প্রযুক্তি উন্নয়নে ব্যয় করেছে।
ধাতব সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ কিআইও থেকে ১১ কোটি টাকা তুলে মোট মূলধন ৪৮.৮৬ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে। তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের অ্যালয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিয়ালকো অ্যালয় ২৮.৫ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে এসএমই প্ল্যাটফর্মে আসে। কিআইওতে তুলেছে ৭.৫ কোটি টাকা।
ওরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ধান ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি ৬৯.০৯ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনসহ বাজারে আসে এবং কিআইওর মাধ্যমে সংগ্রহ করে ১০ কোটি টাকা। স্টার অ্যাডহেসিভ আঠা ও রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি। এর মূলধন ২০ কোটি টাকা এবং তুলেছে ৫ কোটি টাকা। ওয়েব কোস্ট নামের ছাপাখানা ও প্যাকেজিং খাতভিত্তিক কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩৩.০১ কোটি টাকা। কিআইও থেকে তুলেছে ৫ কোটি টাকা।
এসএমইদের কেন পুঁজিবাজার দরকার
দেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) অবদান গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং আয় সৃষ্টিতে এই খাতের অংশগ্রহণ ব্যাপক। দেখা যায়, এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন বা ব্যবসায় অর্থায়ন আসে এর উদ্যোক্তার থেকে। তবে ব্যবসা বড় হতে থাকলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উদ্যোক্তার পক্ষে আর পর্যাপ্ত মূলধন জোগান দেওয়া সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ব্যাংকের দ্বারস্থ হলেও নানা জটিলতায় আর অর্থায়ন মেলে না। মিললেও উচ্চ সুদ মিটিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের মতো দেশে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের বিকল্প নেই। সমস্যা হলো– কোম্পানিগুলো পর্যাপ্ত অর্থায়ন পায় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে এসএমই খাতের ঋণপ্রবাহ বাড়াতে বললেও নানা কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে না। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চ ব্যাংক সুদ এক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাধা। অথচ পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাবে অনেক এসএমই সম্ভাবনা থাকার পরও ঝরে যায়। 

শেয়ারবাজার ভালো সমাধান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্ত্বিক আহমেদ বলেন, বড় ব্যবসা বা শিল্পপ্রতিষ্ঠান ব্যাংক ঋণ নিয়ে সহজে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলেও এসএমই কোম্পানির জন্য এভাবে ব্যবসায় টিকে থাকা সহজ না। ব্যাংক ঋণ গ্রহণে নানা জটিলতার পাশাপাশি উচ্চ সুদের হার বড় বাধা। এ ক্ষেত্রে মালিকানার কিছু অংশ শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করলে ঋণের বোঝা বহনের দরকার পড়ে না।
সাত্ত্বিক আহমেদ বলেন, এক্ষেত্রে ভালো সমাধান হলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া। এসএমই কোম্পানিগুলোর জন্য শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ প্রক্রিয়া বড় কোম্পানিগুলোর তুলনায় সহজ এবং আইন-কানুনেও অনেক শিথিলতা আছে। মুনাফায় থাকলে এসএমই খাতের যেকোনো কোম্পানি ৫ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে পারে। মুনাফা হলে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে, মুনাফা না হলে ব্যাংকের মতো সুদ ব্যয় নেই। ফলে ব্যবসা টিকে থাকার জন্য শেয়ারবাজার এ ধরনের কোম্পানিগুলোর জন্য সবচেয়ে ভালো অর্থায়ন ব্যবস্থা।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে প্রথমবার কিআইও প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আর মূলধন সংগ্রহের সুযোগ নেই। বরং তালিকাভুক্ত হওয়ার পর মূলধন সংগ্রহের সুযোগ অবারিত হয়। চাইলে পরিচালনা পর্ষদ ও এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন সাপেক্ষে লভ্যাংশ নগদে না দিয়ে বোনাস শেয়ার ইস্যু করে মুনাফার টাকা পুনঃবিনিয়োগের জন্য রেখে দিতে পারে। এছাড়া রাইট শেয়ার বিক্রি করেও মূলধন সংগ্রহ করা যায়।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এসএমই খাতের বিকাশ হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলে দেওয়া যায়। যদি পরিকল্পিতভাবে শেয়ারবাজারে আনা যায়, তবে অর্থনীতির কাঠামোও পাল্টে যেতে পারে বলে অভিমত তাঁর।
তালিকাভুক্ত এসএমই কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনাবেচায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এসএমই বোর্ড নামে পৃথক লেনদেন প্ল্যাটফর্ম। ঢাকা ও চট্টগ্রামের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এজন্য পৃথক লেনদেন বোর্ড রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বর্তমানে ২০টি এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৯টি এসএমই কোম্পানি তালিকাভুক্ত। 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এসএমই ক ম প ন ও প রক র য় শ য় রব জ র ক আইও থ ক ১০ ক ট র জন য ব যবস ন নয়ন

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৪ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৩ থেকে ৭ আগস্ট) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেনে শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৪ কোটি ১ লাখ টাকা।

শনিবার (৯ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (৩৫.৩৫) পয়েন্ট বা ০.৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪০৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক (১৬.৬৫) পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ কমে ২ হাজার ৯৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক (০.১৮) পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৭০ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) (৪১.২৫) পয়েন্ট বা ৪.২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩৫ পয়েন্টে।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজার আধুনিকায়নে কাজ করবে এডিবি ও বিএসইসি

লভ্যাংশ দেবে না আইসিবির ৮ মিউচ্যুয়াল ফান্ড

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ১২ হাজার ২২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৫৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ১৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৮টির, দর কমেছে ২২৭টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই (৯.৩৬) পয়েন্ট বা ০.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৯৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক (০.৩২) শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৪৩৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক (০.০৯) শতাংশ কমে ৯ হাজার ৩১৭ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৮৫ শতাংশ বেড়ে ৯৫৬ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.৩১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৬ হাজার ২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ২২৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮১ কোটি ৮১  লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬০টির, দর কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে প্রথম এসএমই প্রিপেইড কার্ড চালু করল এমটিবি, সেবা পে ও মাস্টারকার্ড
  • পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৪ কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কমিউনিটি ব্যাংকের নারী উদ্যোক্তাদের রিফাইন্যান্সিং চুক্তি