ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২২ থেকে ২৬ জুন) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৭ হাজার ৫৪২ কোটি ১২ লাখ টাকা।

শনিবার (২৮ জুন) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮.

৪২ পয়েন্ট বা ১.৬৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৯০ পয়েন্ট বা ২.১৩ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮২০ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২১.৪০ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ২৫.৬৬ পয়েন্ট বা ২.৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৮২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬২৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬৮টির, দর কমেছে ৮৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২০টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৯.২২ পয়েন্ট বা ০.৯৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪০০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৬১ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৫৮৮ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.০৯ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.১৫ শতাংশ বেড়ে ৮৬১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৬৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩২০ কোটি ৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৭২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৯ কোটি ২০ লাখ  টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১০৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৮টির, দর কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন ম লধন ব ড় ছ আর ব দ ড এসই স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ নিয়ে টানা ৪ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে পতন ঘটেছে।

এ দিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। চার দিন পুঁজিবাজারে দর পতনে এই গুজবের বড় ভূমিকা রয়েছে।

আরো পড়ুন:

এসেনসিয়াল ড্রাগসকে আনতে সক্রিয় ডিএসই, মন্ত্রণালয়ে চিঠি

কারণ ছাড়াই বাড়ছে রহিমা ফুডের শেয়ারদর

বাজারে গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে, মার্জিন ঋণের নতুন নীতিমালা হয়েছে। সেখানে একটি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফার (ইপিএস) পাশাপাশি শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) বিবেচনায় নিয়ে ঋণের হার নির্ধারণ করা হয়েছে।

মার্জিন ঋণ সংক্রান্ত গুজব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। তাতে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে জানা গেছে, তারা মার্জিন ঋণের নতুন নীতিমালা তৈরি করেনি। আর ইপিএস ও এনএভির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্জিন ঋণের হার নির্ধারণ করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

‎ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৮.৬০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩১৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯.৫৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৫.৭২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

‎ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১৫টি কোম্পানির, কমেছে ২২২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ৬৬৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৩.১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১৬৩ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৪.৯৩ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৭.১৪ পয়েন্ট কমে ৯৪৩.৩৯ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৬২.৮২ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ১৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

‎সিএসইতে মোট ২২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬৮টি কোম্পানির, কমেছে ১২৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।

সিএসইতে ২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের বাংলাদেশ পর্ব কাল, বিজয়ী দল যাবে যুক্তরাষ্ট্রে
  • ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হতে পারছে না সিএসই
  • মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন
  • এসেনসিয়াল ড্রাগসকে আনতে সক্রিয় ডিএসই, মন্ত্রণালয়ে চিঠি
  • পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন