বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। ১৯৭৩ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউড সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৮৮ সালে প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে তার অভিষেক ঘটে। তারপর জল অনেক গড়িয়েছে। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক প্রশংসিত ও ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।

২০২২ সালের শেষ লগ্নে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন আমির খান। ৩৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে আকস্মিকভাবে বিরতি নেওয়ার ঘোষণায় চমকে যান তার ভক্তরা। এক বছর বিরতি নিয়ে ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে ফিরেন আমির। গত ২০ জুন সিনেমাটি দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরেছেন এই তারকা। মুক্তির ১১ দিনে সিনেমাটি আয় করেছে ২০২ কোটি রুপি।  

আমির অভিনীত অসংখ্য সিনেমার মধ্যে চারটি ৫০০ কোটি রুপির ক্লাব পেরিয়েছে। এই চার সিনেমা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন—

আরো পড়ুন:

‘কেউ হৃদয় ভাঙলে আলমারি পরিষ্কার করি’

নারীরা তাদের স্বামীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারেন, সম্পর্কের বিবর্তন নিয়ে অনুপম

ধুম থ্রি
বিজয় কৃষ্ণা আচার্য পরিচালিত আলোচিত সিনেমা ‘ধুম থ্রি’। সিনেমাটিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। মূলত, সিনেমাটির প্রধান কয়েকটি চরিত্র রূপায়ন করেন— আমির খান, ক্যাটরিনা কাইফ, অভিষেক বচ্চন ও উদয় চোপড়া। যশ রাজ ফিল্মস প্রযোজিত ‘ধুম থ্রি’ সিনেমা ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। বক্স অফিসে সিনেমাটি আয় করে ৫৫৮ কোটি রুপি। 

পিকে
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ধর্মকে যারা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে, ‘পিকে’ তাদের গালে কড়া থাপ্পড় দিয়েছিল। ভিনগ্রহবাসীর চরিত্রে আমিরের সাবলীল ও বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের। বলা যায়, আমির ছাড়া যেন এ চরিত্রের জন্য আর কেউই পারফেক্ট নন। ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়। সিনেমাটি আয় করে ৭৯২ কোটি রুপি।

দঙ্গল
আমির খান অভিনীত ও বহুল আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘দঙ্গল’। ভারতীয় কিংবদন্তি কুস্তিগীর মহাবীর ফোগাটের জীবনী নিয়ে এটি নির্মাণ করেন নীতেশ তিওয়ারি। এ সিনেমায় মহাবীর সিং ফোগাতের চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। তার দুই কন্যা গীতা ফোগাত ও ববিতা কুমারীর চরিত্রে অভিনয় করেন ফাতিমা সানা শেখ, সানিয়া মালহোত্রা। ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভারতের ৪ হাজার ৩০০ ও ভারতের বাইরের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৭০ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি আয় করে ১৯৭০ বা ২০৭০ কোটি রুপি। 

সিক্রেট সুপারস্টার
ইনসিয়া মালিক নামে এক কিশোরীর গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘সিক্রেট সুপারস্টার’। সাধারণ একটি পরিবারে বেড়ে ওঠা ইনসিয়া বড় বড় স্বপ্ন বুনে চলে। বাবা-মা, ভাই, দাদিকে নিয়ে ভারতের ছোট একটি শহরে তার বসবাস। পড়াশোনার পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের ইনসিয়া তার মাকে ঘরের কাজেও সাহায্য করে। সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও গায়িকা হওয়ার অসাধারণ স্বপ্ন দেখে সে। মাত্র ৬ বছর বয়সে গিটার বাজানো শেখে। একপর্যায়ে ইনসিয়া তার স্বপ্নপূরণ করে। মেয়ের স্বপ্নপূরণে গোপনে এগিয়ে আসে তার মা। এই ইনসিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাইরা ওয়াসিম। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মেহের ভিজ, আমির খান, রাজ অর্জুন প্রমুখ। অদ্বৈত চন্দন নির্মিত সিনেমাটি ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। সিনেমাটি আয় করে ৯১২.

৭৫ কোটি রুপি। 

তথ্যসূত্র: স্যাকনিল্ক

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন আম র খ ন ন আম র চর ত র ইনস য়

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজের ২ মাস পরে জঙ্গলে মিলল কিশোরের কঙ্কাল

নিখোঁজ দুই মাসে পরে জঙ্গল থেকে মিলন হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের কংঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের আমিন মডেল টাউন হাউজিংয়ের ভেতরের জঙ্গল থেকে ওই কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। 

নিহত মিলন হোসেন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার পারুলিয়া নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকায় ইউনুস আলীর মালিকানাধীন বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। 

পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের মডেল টাউনের পাশে নিহত মিলন হোসেনের শরীরের গেঞ্জি ও প্যান্ট পড়ে থাকতে দেখেন নিহতের মা জোসনা বেগম। একটু সমানে গিয়ে তিনি একটি কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। 

সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল ওহাব বলেন, “মিলনের মা কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কঙ্কাল উদ্ধার করে। মূলত নিখোঁজ মিলনের গেঞ্জি প্যান্ট দেখে তার মা জোসনা বেগম তার ছেলের মরদেহ বলে দাবি করেন। আমরা কঙ্কাল উদ্ধার করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি।” 

তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজের ঘটনায় মামলা করেছিলেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “মিলন নিখোঁজের ঘটনায় তার মা আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিরেন। মিলন হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশুলিয়া থেকে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনেরগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকার শামীমের রিকশার গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয় মিলন হোসেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। পরের দিন মিলনের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। এরপরে গত ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) জিডিটি মামলা হিসেবে আশুলিয়া থানায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ঢাকা/সাব্বির/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ