আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওয়েবসাইটে টার্গেট হামলা
Published: 2nd, July 2025 GMT
নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওয়েবসাইটে ‘টার্গেটেড’ হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় আইসিসি’র জনসংযোগ দপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, “গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত একটি নতুন, পরিশীলিত ও টার্গেটেড সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। হামলার পর শিগগরই তার আইসিসির সাইবার টিমের নজরে আসে তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।” খবর- আনাদোলু এজেন্সি
এক্সবার্তায় আরও বলা হয়, “আদালত মনে করে, এ ধরনের ঘটনা এবং সেগুলো প্রতিরোধের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জনগণ এবং আদালতের সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে অবহিত করা অপরিহার্য। আইসিসি জনগণ এবং সব সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায়। কারণ, জনগন এবং সদস্যরাষ্ট্রদের সমর্থন ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার গুরুত্বপূর্ণ আদেশ বাস্তবায়নে আদালতের সক্ষমতা নিশ্চিত করে, যা সমস্ত রাষ্ট্রপক্ষের একটি যৌথ দায়িত্ব।”
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইসিসি একটি বৈশ্বিক বিচার প্রতিষ্ঠান এবং এ ধরনের হামলাকে অবহেলা করা মোটেই উচিত নয়।
এর আগে ২০২৩ সালে আইসিসিতে একবার সাইবার হামলা হয়েছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও ভাইরাল: ২১ বছর ধরে কারাবন্দী বারগুতিকে হুমকি দিয়ে এলেন বেন–গভির
ইসরায়েলের কারাগারে গিয়ে সুপরিচিত ফিলিস্তিনি বন্দী মারওয়ান বারগুতিকে হুমকি দিচ্ছেন ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন–গভির। প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
ইসরায়েলি কারাগারের এ ভিডিওতে বেন–গভিরকে বলতে শোনা যায়, ‘ইসরায়েলের বিরোধিতা করলে যে কেউ “ধ্বংস” হয়ে যাবে।’
এ ভিডিওর মধ্য দিয়ে অনেক বছর পর বারগুতিকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেল। ভিডিওতে তাঁকে বয়সের ভারে ক্ষীণ হয়ে পড়া, সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি পরা একজন ব্যক্তি ও প্রায় অচেনারূপে দেখা যায়।
যে-ই ইসরায়েলের জনগণের সঙ্গে ঝামেলা করবে, আমাদের সন্তানদের হত্যা করবে, আমাদের নারীদের হত্যা করবে, তাঁকে আমরা ধ্বংস করে দেব। আমাদের হারাতে পারবে না।ইতামার বেন–গভির, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীগত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ওই ভিডিও। তাতে দেখা যায়, বেন–গভির বারগুতিকে বলছেন, ‘যে–ই ইসরায়েলের জনগণের সঙ্গে ঝামেলা করবে, আমাদের সন্তানদের হত্যা করবে, আমাদের নারীদের হত্যা করবে, তাঁকে আমরা ধ্বংস করে দেব। আমাদের হারাতে পারবে না।’
২০০৪ সাল থেকে কারাগারে আছেন ফিলিস্তিনি নেতা মারওয়ান বারগুতি। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) নিয়ন্ত্রণকারী দল ফাতাহর একজন শীর্ষ নেতা তিনি। ২০০০–২০০৫ সালে ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় (গণ–অভ্যুত্থান) নেতৃত্ব দেওয়ায় ও জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে তাঁকে নিশানা করে ইসরায়েল।
মারওয়ানের ছেলে কাসেম বারগুতি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ভিডিও প্রকাশের পর পরিবার গভীরভাবে তাঁর জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
কাসেম বলেন, ‘দুই বছর ধরে তাঁকে (মারওয়ান) হুমকি ও আক্রমণের একটি ধারাবাহিকতা চলছে। (গাজায়) যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার তাঁকে দুই বছর আগে আক্রমণ করা হয় এবং তিনি আহত হন।’
২০০৪ সাল থেকে কারাগারে আছেন ফিলিস্তিনি নেতা মারওয়ান বারগুতি। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) নিয়ন্ত্রণকারী দল ফাতাহর একজন শীর্ষ নেতা তিনি। ২০০০-২০০৫ সালে ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় নেতৃত্ব দেওয়ায় ও জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে তাঁকে নিশানা করে ইসরায়েল।মারওয়ান বারগুতির ছেলে আরও বলেন, ‘আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে যে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন–গভির, যিনি ইসরায়েলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেতৃত্বের প্রতিনিধি, তাঁর জীবনকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলেছেন।’
কাসেমের মতে, ‘স্পষ্টভাবে বলা যায় যে তাঁকে (মারওয়ান) তাঁর সেলের ভেতরে হত্যা করার সরাসরি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন করা ও নিশানা বানানো আসলে গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যারই অংশ।’
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেন–গভির কারা কমিশনার কোবি ইয়াকোবির সঙ্গে তেল আবিবের গানোট কারাগারে যান। সেখানে ‘বন্দী সন্ত্রাসী’দের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার বিষয়টি কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা।
কারাগারে মারওয়ান বারগুতিকে বেন–গভিরের হুমকি দেওয়ার একটি দৃশ্য