ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
Published: 2nd, July 2025 GMT
ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারির দেয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভিতে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, তারা ‘ফিলিস্তিন-২’ মডেলের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে।
আরো পড়ুন:
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত ইসরায়েল: ট্রাম্প
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
সারির মতে, ‘লাখ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করে ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত করে’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে’।
সারিয়ার দাবি, বেনগুরিয়ন বিমান বন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি ইলাত, তেল আবিব ও আশকেলনের ‘তিনটি সংবেদনশীল স্থান’ লক্ষ্য করে ড্রোন হামলাও চালানো হয়েছে।
হুতি মুখপাত্র গোষ্ঠীর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইয়েমেনের হুতি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতি গোষ্ঠী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গোষ্ঠীটি দাবি করেছে যে, তাদের এসব পদক্ষেপ অবরুদ্ধ গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। উত্তর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান শত্রুতার সময় ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে নিজেদের একত্রিত করেছে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ইসরায়েল ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে জ্বালানি ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে। স্থানীয় ইয়েমেনি কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় উত্তর ইয়েমেনে অনেক মানুষ হতাহত ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল র র লক ষ য ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের মানুষ আর চলতে চায় না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাই মানুষ ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এজন্য দেশপ্রেমিক ইসলামিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীতে ইসলামের পক্ষে ভোটের বাক্স হবে একটি। আমরা ইসলামী দলগুলো আর কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না।’’
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘‘একটি দল আছে, যারা পূর্বে ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজিসহ নানা অপরাধ করেছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীও করছে। আবারো ক্ষমতায় যেতে ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছে পুরনো বন্দোবস্তর জন্য নয়। নতুন সিস্টেম ও নতুন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ক্ষমতা দেখেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশের মানুষ পুরনো সিস্টেম আর দেখতে চায় না। পুরনো বউকে নতুন কাপড়ে সাজিয়ে এনে জনগণের সামনে উপস্থাপন করলে জনগণ আর মেনে নেবে না। তাই নির্বাচনের পূর্বে গণভোট দিতে হবে। পিআর কার্যকর করতে হবে। জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নির্বাচনের পূর্বেই দিতে হবে। বিদেশি অথবা দেশের কোনো অপশক্তির ইশারায় যদি এগুলো কার্যকর করা না হয়। তাহলে, ইসলামী আন্দোলন দেশের মানুষকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’’
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/রাজীব