জন্মদিনে শুভেচ্ছার সঙ্গে অভিনেত্রী পেলেন বিচ্ছেদের চিঠি
Published: 2nd, July 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ সুস্মিতা রায়। লাইট-ক্যামেরার আলোর মতোই ঝলমলে তার জীবন। কিন্তু সেই জীবনে হঠাৎ কালো মেঘের ঘনঘটা। কারণ, মঙ্গলবার নিজের জন্মদিনে প্রকাশ্যে সুস্মিতার জীবনের আরও একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দিক। এ দিন স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে।
মঙ্গলবার সুস্মিতার জন্মদিনে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন তার স্বামী সব্যসাচী চক্রবর্তী।
শুভেচ্ছার পরেই তিনি লেখেন, ‘ভালো থাক। বড় হ আরও। জন্মদিনে আমার শেষতম শুভেচ্ছায় অনেক ভালো থাকিস। নতুন অধ্যায় ভালো হোক। আমরা আলাদা হচ্ছি। কিছু জিনিস দুই তরফে মিলল না, মন খারাপ দুই তরফেই। সেটা কাটিয়েই এগিয়ে যাওয়া হোক!’
পোস্টে বিচ্ছেদ নিয়ে বাইরে থেকে নাক না গলানোর আহ্বানও জানান সব্যসাচী। লেখেন, ‘বাকিদের চর্চা, আলোচনা দয়া করে এখানেই শেষ হোক। আপনাদের কাছ থেকে দুই তরফেই গলাগলি আশা করছি, গালাগালি নয়। এরপর আপনাদের যা ইচ্ছে। এই পোস্ট দু’তরফের সম্মতিক্রমে, আলোচনা করে। আপনারা এবার প্লিজ আলোচনা থামিয়ে দিন। আমাদের দু’জনেরই আলাদা করে অনেক কিছু করার বাকি আছে। প্লিজ।’
বিষয়টি নিয়ে পরে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন সুস্মিতা। তিনি বললেন, ‘এটা নিয়ে আসলে একদম আলোচনা করতে চাই না। সব্যসাচী এবং আমি দু’জনে মিলে যে পোস্ট করেছি, ওইটুকুই সবাইকে বলতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কারও দিকে আঙুল তোলা বা কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি হোক চাই না। আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। কাউকে দোষারোপও করব না। এটা সম্মিলিত একটা সিদ্ধান্ত। দুজন দুজনের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।’
অভিনয়ে সুস্মিতা রায়ের পথচলা বেশ সফল। ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকে শ্যামার বৌদির চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এরপর ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকেও তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’