স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে, শামিকে আদালতের নিদের্শ
Published: 2nd, July 2025 GMT
মডেল হাসিন জাহানের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামির বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তবে তাদের এক কন্যা সন্তান আছে। মোহাম্মদ শামির কাছে নিজের ও সন্তানের ভরণপোষণ খরচ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন হাসিন জাহান। ওই রায়ে কলকাতার উচ্চ আদালত মাসে শামিকে ৪ লাখ রুপি বা ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে আলিপুর জেলা আদালত শামিকে সাবেক স্ত্রী হাসিন জাহান ও মেয়ে আয়রাকে মাসে ১.
শামি ও হাসিন জাহানের ২০১৪ সালে বিয়ে হয়। ২০১৮ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তখন ‘প্রোটেকশন অব উইমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট-২০০৫’ অনুসারে মামলা দায়ে করে ভরণপোষণ চান হাসিন। আলিপুর আদালত প্রথমে মাসে ৮০ হাজার রুপি পরে জেলা জজ আরও ৫০ হাজার রুপি খরচ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
উচ্চ আদালতে হাসিনের আইনজীবী জানান, মাসে হাসিনের আয় ১৬ হাজার রুপি। যা ব্যাংকের স্থায়ী আমানত থেকে আসে। এই অর্থে তার এবং মেয়ের খরচ চলে না। শামির সঙ্গে বিয়ের পর তারা স্বচ্ছল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাদের মাসিক খরচ প্রায় ৬ লাখ রুপি। অন্যদিকে শামির ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় ছিল ৭.১৯ কোটি রুপি। সামর্থ্য থাকতেও তিনি স্ত্রী-সন্তানকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন না।
জবাবে শামি আদালতকে বলেন, তার সাবেক স্ত্রী একজন সফল মডেল এবং অভিনেত্রী। বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন। মাসে অন্তত ৫ লাখ রুপি আয় করেন। ব্যাংক আমানত থেকেও ভালো অর্থ আসে। তিনি খরচ বাবদ এতো অর্থ দিতে পারবেন না।
উচ্চ আদালতের রায়ে হাসিন জাহান , ‘সাত বছর ধরে নিজের ও সন্তানের অধিকাকের জন্য লড়তে গিয়ে প্রায় সব হারিয়েছি। সন্তানকে ভালো স্কুলেও দিতে পারিনি। এ রায়ে আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ বিচারপতি অজয় জানিয়েছেন, অতিরিক্ত কিংবা অল্প ক্ষতিপূরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ শ ম
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় ৮ কুকুরছানা পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় আটটি কুকুরছানার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা, ছানাগুলোকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান।
এলাকাবাসীর ধারণা, রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময় কুকুরছানাগুলো পানিতে ফেলা হয়। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ছানাগুলোর মরদেহ পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন:
লাখাইয়ে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ১১
খুবিতে কুকুরের উৎপাত নিয়ন্ত্রণে বন্ধ্যাত্বকরণের উদ্যোগ
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভেতরে ইউএনওর বাসভবনের সামনে মাটিতে পড়ে আছে আটটি কুকুরছানার নিথর দেহ। পাশেই ছানাগুলোর শরীরের গন্ধ শুঁকে তাদের স্পন্দন বোঝার চেষ্টা করছিল মা কুকুর। ছানাদের সাড়া না পেয়ে আর্তনাদ করছিল কুকুরটি। মা কুকুরের এমন কান্না দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপজেলা চত্বরে আসা অনেকে। এমন অমানবিক কাজকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের একটি কোনায় থাকত এই মা কুকুর। বিশ্বস্ত হওয়ায় সবাই কুকুরটিকে খুব ভালবাসে। নাম রাখা হয় টম। গত এক সপ্তাহ আগে টম আটটি বাচ্চা প্রসব করে। সোমবার সকাল থেকে ছানাগুলো দেখতে না পেয়ে ছুটাছুটি করতে দেখা যায় তাকে। পরে টমের ছানাগুলো বস্তাবন্দি অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। দুপুরের পর মৃত কুকুর ছানাগুলোকে ইউএনওর বাসভবনের পাশে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন ও তার স্ত্রী আটটি কুকুরছানাকে বস্তার মধ্যে বেঁধে গত রবিবার রাতের কোনো এক সময় ফেলে দেন উপজেলা পরিষদের পুকুরে। সোমবার সকালে পাওয়া যায় কুকুরছানাগুলোর মরদেহ।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর হোসেন রনি বলেন, “নিঃসন্দেহে কুকুরছানাগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। যে নিরীহ পশুকে হত্যা করতে পারে, সে মানুষকেও হত্যা করতে পারে। কুকুরছনাকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসানুর রহমান নয়ন বলেন, ‘আমি এ ছানাগুলো হত্যা করিনি। আমার স্ত্রী এই কাজ করেছেন। আমি ঘটনা জানতে পেরে স্ত্রীকে অনেক বকাবকি করেছি।”
ঈশ্বরদীর ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ