প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী দলের শেষ সদস্য কাঞ্চা শেরপা ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে কাঠমান্ডু জেলার কাপানে তার বাড়িতে কাঞ্চা মারা যান বলে জানিয়েছে নেপাল পর্বতারোহণ সমিতির সভাপতি ফুর গেলজে শেরপা।

ফুর গেলজে বলেছেন, “তিনি তার বাসভবনে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন। পর্বতারোহণের ইতিহাসের একটি অধ্যায় তার সাথেই বিলীন হয়ে গেলো।”

সোমবার কাঞ্চা শেরপার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৫৩ সালের ২৯ মে নিউজিল্যান্ডের এডমন্ড হিলারি এবং তার শেরপা গাইড তেনজিং নোরগেকে ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার উঁচু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা দলের ৩৫ সদস্যের মধ্যে কাঞ্চা ছিলেন। হিলারি এবং তেনজিংয়ের সাথে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে এভারেস্টের শেষ ক্যাম্পে পৌঁছা তিনজন শেরপার একজন ছিলেন কাঞ্চা। তেনজিং ১৯৮৬ সালে মারা যান; হিলারি ২০০৮ সালে মারা যান।

১৯৩৩ সালে মাউন্ট এভারেস্টের প্রবেশদ্বার নামচে বাজারে জন্মগ্রহণকারী কাঞ্চা ১৯ বছর বয়সে পর্বতারোহণ শুরু করেন। তিনি ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত পর্বত অভিযানের ক্ষেত্রে সক্রিয় ছিলেন।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ভীড় এবং ময়লা-আবর্জনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেছিলেন, “পর্বতের জন্য পর্বতারোহীদের সংখ্যা কমানোই ভালো হবে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বল এখন তালেবানের কোর্টে: পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, কাবুল যদি ইসলামাবাদের ‘ন্যায্য’ শর্ত পূরণে সম্মত হয়, তাহলে পাকিস্তান আলোচনায় প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ডন অনলাইন।

সীমান্তে নতুন করে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বুধবার একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এফও) জানিয়েছে, তালেবানের অনুরোধে এবং পারস্পরিক সম্মতিতে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতি ১৫ অক্টোবর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৪৮ ঘন্টা স্থায়ী হবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ জানিয়েছেন, আফগান পক্ষ যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছে এবং একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে। 

তিনি বলেন, “গতকাল আমরা ৪৮ ঘন্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছি (এবং) বার্তা পাঠানো হয়েছে যে তারা যদি আলোচনার মাধ্যমে আমাদের ন্যায্য শর্ত পূরণ করতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত। বল তাদের কোর্টে।”

পাকপ্রধানমন্ত্রী জানান, যদি আফগান পক্ষ আন্তরিক হয় এবং গুরুত্ব দেয়, তাহলে পাকিস্তান আলোচনার জন্য পদক্ষেপ নেবে। পাকিস্তানের মিত্র দেশগুলো, বিশেষ করে কাতারও পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে সমাধান করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে আফগান মাটি থেকে ফিতনা আল-খাওয়ারিজ নির্মূল করা যাতে প্রতিবেশী দেশের ভূখণ্ড আর সন্ত্রাসীদের দ্বারা ব্যবহৃত না হয়।

ফিতনা-আল-খাওয়ারিজ শব্দটি রাষ্ট্র নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের জন্য ব্যবহার করে ইসলামাবাদ।

প্রসঙ্গত, বুধবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তে আবারও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১২ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে কাবুলের তালেবান প্রশাসন। এর আগে গত রবিবার আফগানিস্তানের উত্তর সীমান্তের একাধিক পাহাড়ি স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের উপর আক্রমণ করেছিল তালেবান। এই হামলায় পাকিস্তানের ৫৮ সেনা নিহত হয়।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ