সন্ধ্যায় সারা দিনের আলোচিত খবর
Published: 16th, October 2025 GMT
ছবি: সৌরভ দাশ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
নারায়ণগঞ্জে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জেলার তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে এমন তথ্য জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতিকুর রহমান।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, জেলায় তিনটি ধারায় (উচ্চ মাধ্যমিক, আলিম ও ভোকেশনাল) মোট ২৩ হাজার ১৬২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১২ হাজার ৪০০ জন, পাসের হার ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জিপিএ–৫ পেয়েছে ৩২১ জন শিক্ষার্থী।
জেলার এবারের ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকেশ্বরী মিলস কলেজ (বন্দর), রূপগঞ্জের নবকিশলয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ (এমপিওভুক্ত) এবং আব্দুল আজিজ মিয়া আয়েশা খাতুন কলেজ এই তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি।
ঢাকেশ্বরী মিলস কলেজ থেকে ৩ জন পরীক্ষার্থী, নবকিশলয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২৫ জন এবং আব্দুল আজিজ মিয়া আয়েশা খাতুন কলেজ থেকে ১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু কেউই পাস করতে পারেনি। ফলে তিন প্রতিষ্ঠানের পাসের হার শূন্য শতাংশ।
অন্যদিকে, কমর আলী কলেজে ফল আশঙ্কাজনকভাবে কম ১০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১৭ জন পাস করেছে, পাসের হার ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
সবচেয়ে ভালো ফল করেছে গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির ৩৬০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫৯ জন পাস করেছে, পাসের হার ৯৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে ২৮০২ জনের মধ্যে পাস করেছে ২২২৬ জন, পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৪ জন।
সরকারি তোলারাম কলেজে ২৭১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০৫১ জন পাস করেছে, পাসের হার ৭৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৬ জন।
অন্যদিকে, আদমজীনগর মার্চেন্ট সরকারি কলেজে ফলাফল তুলনামূলকভাবে দুর্বল ১ হাজার ৯১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৮৩ জন, পাসের হার ৪০ দশমিক ৮২ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জেলায় সবচেয়ে বেশি অংশ নেয় ২১ হাজার ৭৭৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১১ হাজার ৩৬১ জন পাস করেছে, পাসের হার ৫২ দশমিক ১৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮৬ জন।
আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯১৩ জন, পাস করেছে ৭৩৫ জন, পাসের হার ৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৪ জন। ভোকেশনাল শাখায় অংশ নেয় ৪৭৫ জন, পাস করেছে ৩০৪ জন, পাসের হার ৬৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র একজন।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতিকুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠানের ফল শূন্য বা অস্বাভাবিকভাবে কম, সেগুলোকে শোকজ করা হবে। প্রয়োজন হলে তদন্ত শেষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”