দীর্ঘ এক বছর পর সৌদি আরব থেকে রুবেলের মরদেহ দেশে আসার খবরে ফটিকছড়িতে মরদেহের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান রুবেলের ভাই বাবুল (৩২) এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রতিবেশী ওসমান মিয়া (৪০)। 

নিহতরা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নের তালুকদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। 

সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশের মিয়াবাজার থানার ইনচার্জ মো.

সাহাব উদ্দিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রুবেলের মরদেহ শনিবার সৌদি আরব থেকে এক বছর পর ঢাকা বিমান বন্দরে পৌঁছায়। বিমান বন্দর থেকে মরদেহ গ্রহণ করে বাবুল ও ওসমান মিয়া বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথে বিকেল ৫টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা এলাকায় পৌঁছালে লরির পেছনে ধাক্কা খায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে বাবুল ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওসমান মারা যান। এছাড়াও রশির মিয়া (৩০) গুরুতর আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

হাইওয়ে পুলিশের মিয়াবাজার থানার ইনচার্জ মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর লরি ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক পালিয়ে যান। মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ন হত দ ই দ র ঘটন মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ায় সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোকে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা

ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। তবে স্বৈরশাসক হিসেবে তার পূর্ব পরিচিতি কারণে এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরে বলা হয়েছে, ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে সুহার্তোর নিউ অর্ডার শাসনামলে, ইন্দোনেশিয়া দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যুগ দেখেছিল কিন্তু সহিংস রাজনৈতিক দমন-পীড়নেরও একটি যুগ দেখেছিল। সেই সময় কয়েক লাখ রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

সোমবার (১০ নভেম্বর) জাকার্তার প্রেসিডেন্ট ভবনে জাতীয় বীর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সুহার্তোর সাবেক জামাতা ও ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঘোষিত ‘জাতীয় বীর’ তালিকায় নতুন যুক্ত হওয়া ১০ জনের মধ্যে প্রয়াত সুহার্তোও রয়েছেন।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্দোনেশিয়া শাসন করা সুহার্তো ১৯৯৮ সালে অর্থনৈতিক সংকটের সময় গণবিক্ষোভ এবং মারাত্মক দাঙ্গার মুখে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। ২০০৬ সালে ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

অনুষ্ঠানে সুহার্তোকে স্মরণ করে বলা হয়, “সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্বাধীনতাসংগ্রামের নায়ক, জেনারেল সুহার্তো স্বাধীনতার যুগ থেকে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।”

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে সোহার্তোর স্বৈরাচারী শাসনকালকে বৈধ প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে প্রাবোও সরকারের মন্ত্রীরা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে বলেছেন, সোহার্তোর অর্থনৈতিক অবদানই ছিল দেশের উন্নয়নের ভিত্তি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো অমূলক।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ