ভাইয়ের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনা, নিহত ২
Published: 5th, July 2025 GMT
দীর্ঘ এক বছর পর সৌদি আরব থেকে রুবেলের মরদেহ দেশে আসার খবরে ফটিকছড়িতে মরদেহের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান রুবেলের ভাই বাবুল (৩২) এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রতিবেশী ওসমান মিয়া (৪০)।
নিহতরা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নের তালুকদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশের মিয়াবাজার থানার ইনচার্জ মো.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রুবেলের মরদেহ শনিবার সৌদি আরব থেকে এক বছর পর ঢাকা বিমান বন্দরে পৌঁছায়। বিমান বন্দর থেকে মরদেহ গ্রহণ করে বাবুল ও ওসমান মিয়া বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথে বিকেল ৫টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা এলাকায় পৌঁছালে লরির পেছনে ধাক্কা খায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে বাবুল ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওসমান মারা যান। এছাড়াও রশির মিয়া (৩০) গুরুতর আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাইওয়ে পুলিশের মিয়াবাজার থানার ইনচার্জ মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর লরি ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক পালিয়ে যান। মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ন হত দ ই দ র ঘটন মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে নারী নির্যাতন: রিমান্ড শেষে চার আসামিকে আদালতে তোলা হবে আজ
কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণ কাণ্ডে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হবে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ওই দিন ভুক্তভোগী নারীকে ঘরের ভেতর আটকে নির্যাতন ও ভিডিও ভাইরাল করার বিষয়ে তারা বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আগেই কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান। তবে মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘রিমান্ডে ঘটনার সময় নির্যাতন ও ভিডিওকারীদের নাম প্রকাশ করেছেন আসামিরা।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হকের আদালতে চারজনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মুরাদনগর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। আদালত ৪ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন– রমজান, মোহাম্মদ আলী সুমন, মো. আরিফ ও মো. অনিক।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান গতকাল সমকালকে বলেন, রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। একই মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি ও ঘটনার পরিকল্পনাকারী শাহ পরানের রিমান্ড শুনানি হবে বুধবার।