১৬ দিনে আমিরের সিনেমার আয় ৩১১ কোটি টাকা
Published: 6th, July 2025 GMT
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। ২০২২ সালের শেষ লগ্নে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন। ৩৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে আকস্মিকভাবে বিরতি নেওয়ার ঘোষণায় চমকে যান তার ভক্তরা। এক বছর বিরতি নিয়ে ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে ফিরেন আমির। অবশেষে সিনেমাটি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরেছেন এই তারকা।
২০ জুন মুক্তি পেয়েছে ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন আর.
স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘সিতারে জমিন পার’ আয় করেছে ১০.৬ (নিট) কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে আয় করেছে ২০ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে আয় করে ২৭ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে আয় করে ৮.৪ কোটি রুপি (নিট), পঞ্চম দিনে আয় করে ৮.৪ কোটি রুপি (নিট), ৬ষ্ঠ দিনে আয় করে ৭.১৫ কোটি রুপি (নিট), সপ্তম দিনে আয় করেছে ৬.৪৫ কোটি রুপি (নিট), অষ্টম দিনে আয় করেছে ৬.৬২ কোটি রুপি (নিট), নবম দিনে আয় করে ১২.৫৩ কোটি রুপি (নিট)। দশম দিনে আয় করে ১৪.৪৩ কোটি রুপি (নিট)।
আরো পড়ুন:
কারিনা যে কারণে পাকিস্তানে যেতে চান
‘রনিতকে লাথি মেরে গাড়ি থেকে বাইরে ফেলে দিই’
মুক্তির এগারো দিনে আয় করে ৩.৭২ কোটি রুপি (নিট), বারো দিনে আয় করে ৩.৭৩ কোটি রুপি (নিট), তেরো দিনে আয় করে ২.৭৩ কোটি রুপি (নিট), চৌদ্দ দিনে আয় করে ২.৪৮ কোটি রুপি (নিট), পনেরো দিনে আয় করে ২.৩৯ কোটি রুপি (নিট), ষোল দিনে আয় করে ৫.৫৪ কোটি রুপি (নিট)। ১৬ দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি আয় করেছে ২১৭.৫ কোটি রুপি (গ্রস)। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩১১ কোটি ৯১ লাখ টাকার বেশি।
আমির খান পরিচালিত ও অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তারে জমিন পার’। ২০০৭ সালে এ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘সিতারে জমিন পার’।
সিনেমাটিতে আমির খানের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন জেনেলিয়া ডিসুজা। এতে ১০ জন নতুন মুখ রয়েছেন। তারা হলেন— আরৌশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সাম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বানসালি, আশীষ পেন্ডসে, ঋষি সাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র ও সিমরান মঙ্গেশকর। অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন আমির খান। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯০ কোটি রুপি।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র খ ন আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজের ২ মাস পরে জঙ্গলে মিলল কিশোরের কঙ্কাল
নিখোঁজ দুই মাসে পরে জঙ্গল থেকে মিলন হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের কংঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের আমিন মডেল টাউন হাউজিংয়ের ভেতরের জঙ্গল থেকে ওই কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
নিহত মিলন হোসেন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার পারুলিয়া নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকায় ইউনুস আলীর মালিকানাধীন বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের মডেল টাউনের পাশে নিহত মিলন হোসেনের শরীরের গেঞ্জি ও প্যান্ট পড়ে থাকতে দেখেন নিহতের মা জোসনা বেগম। একটু সমানে গিয়ে তিনি একটি কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল ওহাব বলেন, “মিলনের মা কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কঙ্কাল উদ্ধার করে। মূলত নিখোঁজ মিলনের গেঞ্জি প্যান্ট দেখে তার মা জোসনা বেগম তার ছেলের মরদেহ বলে দাবি করেন। আমরা কঙ্কাল উদ্ধার করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি।”
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজের ঘটনায় মামলা করেছিলেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “মিলন নিখোঁজের ঘটনায় তার মা আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিরেন। মিলন হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশুলিয়া থেকে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনেরগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকার শামীমের রিকশার গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয় মিলন হোসেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। পরের দিন মিলনের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। এরপরে গত ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) জিডিটি মামলা হিসেবে আশুলিয়া থানায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ঢাকা/সাব্বির/এস