Prothomalo:
2025-07-06@16:44:28 GMT

কী আছে ঈদের আলোচিত দুই নাটকে

Published: 6th, July 2025 GMT

‘মিথ্যা বলা মহাপাপ’—ছোটবেলা থেকেই এ নীতিবাক্য আমরা শুনে আসছি। অথচ জীবনের অনেক মোড়ে এসে দেখি, মিথ্যা নয়; বরং সত্যই মাঝেমধ্যে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার এমনও হয়, কাউকে কষ্ট না দিতে গিয়ে সত্য লুকিয়ে ফেলি। পরে সেই লুকানো সত্যই আমাদের ভেতরে অপরাধবোধ তৈরি করে। এ সত্য-মিথ্যার টানাপোড়েনের মধ্যেই সম্পর্ক তৈরি হয়, আবার ভেঙেও যায় অনেক সময়।

এ সত্য-মিথ্যার টানাপোড়েন, সম্পর্কের দ্বিধা ও ব্যক্তিগত সংকট নিয়ে নির্মিত হয়েছে দুটি নাটক—‘সত্য বলা মহাপাপ’ ও ‘ক্ষতিপূরণ’। বাংলাদেশি নাটকের গল্পে যখন গভীরতার ঘাটতির অভিযোগ, তখন এই দুই নাটক ব্যতিক্রমই বলতে হবে। গল্প, সংলাপ, নির্মাণ ও অভিনয়ের মাধ্যমে আমাদের জীবনের গভীর অথচ সাধারণ অনুভবগুলোকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে নাটক দুটি।

‘সত্য বলা মহাপাপ’ নাটকের পোস্টার। ইয়াশের ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

একটি দলের কারণে মৌলিক সংস্কার আটকে যাচ্ছে: আখতার

শুধু একটি রাজনৈতিক দলের কারণে ঐক্যমত কমিশনে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবনা আটকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহীতে জুলাই পথযাত্রা শেষে এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, “ঐকমত কমিশনে সংস্কারের আলোচনা চলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন মৌলিক সংস্কারের পক্ষে সবাই এক হয়ে যায়, তখন একটি দলের কারণে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবনা ঐক্যমত কমিশনে আটকে যায়।”

আরো পড়ুন:

চিপায় পড়ে ডিসি-এসপিরা ভাল ব্যবহার করছেন: হাসনাত

উপাচার্যরা দায়িত্ব চেয়ে নেননি, হাতে-পায়ে ধরে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

দলটিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “ঐক্যমত কমিশনে মৌলিক সংস্কারকে আটকে দিতে পারবেন, জুলাই সনদকে আটকে দিতে পারবেন। কিন্তু জনগণের কাছে সংস্কারের কথা আসলে জনগণ অবশ্যই সেই সংস্কার বাস্তবায়ন করে ছাড়বে, ইনশাআল্লাহ। এ দেশের সংস্কার হবেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা যখন সংস্কারের কথা বলছি। ঠিক ওই সময় ওরা বলে, রাজনীতিতে নাকি আবেগের জায়গা নেই। আমরা বলি- জনগণের ন্যায়সংগত আবেগকে বাস্তবে রূপ দেওয়া আমাদের রাজনীতি। জনগণের মধ্যে আবেগ এসেছিল বিধাই স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল। জনগণের শক্তিকে ভুলে যাবেন না। জনগণের চাওয়াকে ছোট করে দেখবেন না।”

এনসিপির এই নেতা বলেন, “জনগণের মধ্যে আবেগ এসেছিল বলেই কোনো অস্ত্র ছাড়াই খালি হাতে ওই আওয়ামী সন্ত্রাসীকে তারা মোকাবিলা করেছিল। জনগণের চাওয়াকে বাস্তবায়নের রাজনীতি বাংলাদেশে করতে হবে, এটাই জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা। এর বাইরে কোনো রাজনীতি দেশের মানুষ, রাজশাহীর মানুষ হতে দেবে না।”

“বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদের দাবিতে আমাদের যে পদযাত্রা চলছে, সেই পদযাত্রার পক্ষে গোটা উত্তরাঞ্চলে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। যারা আমাদের ছোট পার্টি বলতে চায়, তারা এসে দেখুক কত মানুষ এনসিপির রাজনীতি করার জন্য অপেক্ষা করছে। এই পার্টি সবার পার্টি,” ‍যুক্ত করেন আখতার।

এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ