কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ীর মৃত্যু
Published: 7th, August 2025 GMT
ঢাকার নবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী আদনান খন্দকার কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
আদনান খন্দকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সামসুল আলমের (পোখরাজ) ছেলে। তিনি রাজওভারশীস লিমিটেডের মালিক ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনিই পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই চেক ডিজঅনারের (চেক পরিশোধে ব্যর্থ) একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আদনান কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। গতকাল বেলা ২টা ১০ মিনিটে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুম বলেন, বন্দী আদনান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তিনি হৃদ্রোগে ভুগছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
স্বজনদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মা–বাবার একমাত্র সন্তান আদনান আরাম–আয়েশে থাকতেন। কারাগারের পরিবেশ ও অতিরিক্ত গরম তাঁর জন্য সহনীয় ছিল না। এসব কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
এ বিষয়ে আদনানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর নিরাপত্তাকর্মী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আদন ন
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি কূপ খননে পেট্রোবাংলার সঙ্গে চীনের কোম্পানির চুক্তি
গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি কূপ খননে চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
চুক্তি অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে এ দুটি কূপ খনন করবে চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানির (সিএনপিসি) সহযোগী কোম্পানি সিএনপিসি চুয়াংইং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিসিডিসি)।
পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ চুক্তির কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, দেশের বিরাজমান জ্বালানিঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ভূগর্ভস্থ গভীরতম স্তর থেকে গ্যাস অনুসন্ধানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) দুটি গ্যাসক্ষেত্রে কূপ দুটি খনন করছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সিসিডিসি ৫৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকায় কূপ দুটি খনন করবে।
পেট্রোবাংলা বলছে, সফলভাবে খনন সম্পন্ন হলে দেশের গ্যাস খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বর্তমানের চেয়ে গ্যাসের মজুত বৃদ্ধি পাবে। কূপ খনন শেষে তিতাস-৩১ কূপ থেকে দিনে প্রায় দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস এবং বাখরাবাদ-১১ কূপ থেকে দিনে প্রায় ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিতাস-৩১ কূপে ৫ হাজার ৬০০ মিটার এবং বাখরাবাদ-১১ কূপে ৪ হাজার ৩০০ মিটার খনন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কূপ খনন, ভূমি অধিগ্রহণ ও গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় হবে ৭৯৮ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। গভীর কূপ দুটি খননের মাধ্যমে তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের ৩ হাজার ৭০০ মিটার থেকে ৫ হাজার ৬০০ মিটার ভূ-অভ্যন্তরে গ্যাসের উপস্থিতি, বিস্তৃতি ও গ্যাস মজুত নিশ্চিত হওয়া যাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান। বিজিএফসিএলের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন কোম্পানি সচিব মো. মোজাহার আলী এবং সিসিডিসির পক্ষে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লি জিয়াওমিং।