ময়মনসিংহ নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। এ ছাড়া ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে কমিটি।

নগরের ব্রহ্মপল্লী এলাকায় হেলথ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ৪ আগস্ট হাসপাতালটির লিফট বন্ধ করে দেওয়ায় সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে এক প্রসূতি নিচে পড়ে যান। পরে তিনি একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করেন। পরিবারটির দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্ত্রীকে নিয়ে ৪ আগস্ট হাসপাতালটিতে যান ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত এসআই লুৎফুর রহমান। সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা করতে বলায় রোগীকে নিয়ে তিনি বাইরে যেতে চান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে লিফট বন্ধ করে দেওয়ায় ওই প্রসূতিকে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে রওনা হন। একপর্যায়ে সেখান থেকে পড়ে যান ওই নারী।

আজ দুপুরে জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাইফুল ইসলাম খানের সই করা চিঠিতে জানানো হয়, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হচ্ছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত হেলথ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতালটি বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ ঘটনায় আজ দুপুরে হেলথ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রঞ্জন নন্দী, হাসপাতালটির কর্মী পাপ্পু ও মজিবুর রহমান নামের তিন ব্যক্তি আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিবিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাইফুল ইসলাম খান বলেন, হাসপাতালটির লাইসেন্স নেওয়া হলেও পরে নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনা দেখে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে খানকা শরিফে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৬০

ময়মনসিংহ নগরের সুতিয়াখালী বাজারে ‘আতে রাসুল খাজা বাবার দায়রা শরিফ’ নামে একটি খানকা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে একদল লোক সেখানে ভাঙচুর চালায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের সুতিয়াখালী বাজারে প্রায় ১৭ বছর আগে স্থানীয় উসমান গণি ফকির সরকারি জমিতে একটি ঘর তুলে ওই খানকা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি ভক্তদের নিয়ে আড্ডা দিতেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে এটি ‘গণি ফকিরের আস্তানা’ নামে পরিচিত। প্রতি শুক্রবার রাতে সেখানে সামা-কাওয়ালি গানের আয়োজন করা হতো। সম্প্রতি একদল মুসল্লি এই অনুষ্ঠানকে ‘অসামাজিক’ আখ্যা দিয়ে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

সুতিয়াখালী বাজারে ‘আতে রাসুল খাজা বাবার দায়রা শরিফ’ নামে একটি খানকা ভাঙচুর করে কিছু মানুষ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘অসামাজিক’ কিছু দেখেননি স্থানীয় বাসিন্দারা, তারপরও মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা
  • অভিযানের পর ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্সচালকেরা, ময়মনসিংহ মেডিকেলের রোগীদের দুর্ভোগ
  • রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পা‌রে
  • ময়মনসিংহে খানকা শরিফে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৬০
  • ময়মনসিংহে প্রতি সপ্তাহে কাওয়ালি গানের আসর বসা খানকা শরিফে ভাঙচুর
  • ময়মনসিংহে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ
  • আজ ‘ছিটেফোঁটা’ বৃষ্টির সম্ভাবনা, তবে লঘুচাপ হতে পারে আবার