ময়মনসিংহে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ, তদন্তে কমিটি
Published: 7th, August 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। এ ছাড়া ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে কমিটি।
নগরের ব্রহ্মপল্লী এলাকায় হেলথ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ৪ আগস্ট হাসপাতালটির লিফট বন্ধ করে দেওয়ায় সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে এক প্রসূতি নিচে পড়ে যান। পরে তিনি একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করেন। পরিবারটির দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্ত্রীকে নিয়ে ৪ আগস্ট হাসপাতালটিতে যান ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত এসআই লুৎফুর রহমান। সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা করতে বলায় রোগীকে নিয়ে তিনি বাইরে যেতে চান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে লিফট বন্ধ করে দেওয়ায় ওই প্রসূতিকে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে রওনা হন। একপর্যায়ে সেখান থেকে পড়ে যান ওই নারী।
আজ দুপুরে জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাইফুল ইসলাম খানের সই করা চিঠিতে জানানো হয়, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হচ্ছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত হেলথ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতালটি বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ ঘটনায় আজ দুপুরে হেলথ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রঞ্জন নন্দী, হাসপাতালটির কর্মী পাপ্পু ও মজিবুর রহমান নামের তিন ব্যক্তি আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিবিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাইফুল ইসলাম খান বলেন, হাসপাতালটির লাইসেন্স নেওয়া হলেও পরে নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনা দেখে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টির দাপট চলবে আরো কয়েকদিন, কমবে পরের সপ্তাহে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতের মধ্যে দিয়ে পার হচ্ছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ। মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় অবস্থানের কারণে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ বিভাগেই হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির প্রবণতা বজায় থাকলেও পরের সপ্তাহে তা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণও হতে পারে।
এ সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় বাতাস দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তাপমাত্রায় তেমন পরিবর্তন আসবে না বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়কালে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝে মাঝে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দেশের কিছু নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে, সেসব স্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে ১০২ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মাদারীপুর ও পটুয়াখালীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা/ইভা