দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন
Published: 9th, August 2025 GMT
আজ ৯ আগস্ট, বিশ্ব আদিবাসী দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সুরক্ষার জন্য এই দিবসটি পালন করা হয়।
রাঙামাটি:
নানা আয়োজনে রাঙামাটিতে উদযাপন হয়েছে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
সভা শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা রাঙামাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধায় সারা দেশে পালিত হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান দিবস
‘মা’কে নিয়ে গল্প লিখে পুরস্কার পেলেন বাকৃবির হাসিবুর
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংতি সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার।
টাঙ্গাইল:
ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা শাখা আদিবাসী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সদর উপজেলা শাখার চেয়ারম্যান নিমায় রায় বাগদি, সেক্রেটারি কৃষ্ণ চন্দ্র দাস, কোষাধ্যক্ষ শান্ত চন্দ্র দাস। এ সময় অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ কোটা দিতে হবে। তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আলাদা আদিবাসী মন্ত্রণালয় করার দাবি জানান বক্তারা।
ঢাকা/শংকর, কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে মৎস্যজীবী দলের আলোচনা সভা
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎস্যজীবী দল। িশুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থান মৎস্যজীবী দলীয় কার্যালয় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নেতা মোহাম্মদ জনি পাঠানের সঞ্চালনা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর মৎস্যজীবী দলের নেতা মো. জনি ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. মনির হোসেন, সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান সানি, মো. হারুন, মো. রাসেল।
এ সম আরো উপস্থিত ছিলেন, জি এম সোহেল, মো. রহিম বাদশা, মো. শাকিল, মো. সবুজ, মো. জনি ইসলাম, মো. আনিস দেওয়ান, মো. কবির, মো. আবুল কালাম, মো. আলী, মো. আলী, মো. বাধন, মো. শাহিন, মো. ইমরান, মো.গোলজার হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, মো. বাবুল হোসেন, মো. মিজান, মো. ইকবাল, মো, রাসেল, মো. জাহিদ, মো. মিজান সহ দলীয় নেতা-কর্মী।
এ সময় প্রধান বক্তা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদী চক্রের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে সিপাহি-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। সেদিন সিপাহি জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সৈনিক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস। তাই বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনাকে ধারণ করে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমানে অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশ-বিদেশে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করলে তার উত্তরসূরি তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।##