‘অনেকেই আমাকে কাজে নেবে না, বলবে, তোমার তো পা ভাঙা’
Published: 10th, August 2025 GMT
‘ছোটবেলায় আমার খুব ইচ্ছা ছিল এয়ারফোর্সে (বিমানবাহিনী) যোগ দেব। ছোটবেলাতেই প্রেম করতাম (হাসি)...প্রেমিকা বলল, “আকাশে উড়লে তুমি পড়ে মরে যাবা। এয়ারফোর্সে জয়েন করা যাবে না, বড়জোর তুমি আর্মড ফোর্সে জয়েন করতে পার।”
‘আব্বারও ইচ্ছা ছিল আর্মড ফোর্সে জয়েন করব। পরে আবার ইচ্ছা হলো মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে (বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান) চাকরি করব। আবার মা বলল, ‘ডাক্তার হতে হবে।’ পাশের বাড়ির আন্টি বলে, ইঞ্জিনিয়ার হলে ভালো। কত মাথার কত বুদ্ধি। শেষমেশ হয়ে গেলাম অভিনেতা,’ বলছিলেন আফরান নিশো। গতকাল রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে হাজির হয়েছিলেন নিশো। সেখানেই এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নিশো আরও বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে জানতামও না অভিনেতা হব। এই বিষয়টা অনেকে জানেন না। আমি বলব, প্রথম নিজেকে জিজ্ঞেস করবেন, আপনার সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত কীভাবে কাটে, আপনি আসলে কী করতে চান? আপনারা হয়তো ৫০ ভাগ মানুষ জানেন–ই না আপনার কোন দিকে যাওয়া উচিত। সবই হয়তো অনেকে অনেক কথা বলছে, কিন্তু আপনারা নিজেকে জিজ্ঞেস করবেন, কোন বিষয়টিতে আপনার আরাম লাগে। আরাম জিনিসটা আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। আমি পড়ালেখা শেষ করে অনেক আশা নিয়ে হয়ে গেছি অভিনেতা, যেটা আমি কখনো ভাবিই নাই। কিন্তু যখন অভিনয় শুরু করি, সে বিষয়ে আমি অনেক সিরিয়াস থাকার চেষ্টা করি। কারণ, এটা প্রথম প্যাশন ছিল এখন আমি প্যাশনের সঙ্গে আমি পেশাদার অভিনেতা। দুইটা দুই জিনিস। একটা ভালো লাগা, ভালোবাসা আরেকটা হচ্ছে জীবিকা। এটা (অভিনয়) দিয়েই আমি পেট চালাই।’
‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশো। প্রযোজনা সংস্থার সৌজন্যে।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিশ্বকাপে ফ্রান্স
কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের জায়গা নিশ্চিত করল ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইউক্রেনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করেন দুটি গোল। আর এই দুই গোলেই তার ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ৪০০-এর মাইলফলক।
শেষ ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় সাতে। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পের দুই গোলের মাঝখানে বায়ার্ন মিউনিখের মাইকেল অলিসে করেন একটি গোল, আর শেষদিকে স্কোরলাইনকে আরও সুন্দর করে তোলেন লিভারপুলের হুগো একিটিকে।
আরো পড়ুন:
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্স দলে ফিরলেন এন’গোলো কান্তে
ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ কেপ ভার্দের ‘বিশ্বকাপ’ স্বপ্ন ছোঁয়ার ইতিহাস
যদিও ম্যাচজুড়ে ফ্রান্সকে বারবার থামিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের রক্ষণ। বিশেষ করে দিদিয়ের দেশমের জন্য এটি ছিল প্যারিসে তার শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। কারণ, বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব ছাড়বেন ফরাসি কোচ। তাই ম্যাচে ছন্দের ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
৫৫ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। এমবাপ্পের প্যানেনকা পেনাল্টি ভেঙে দেয় ইউক্রেনের প্রতিরোধ। সেই গোল থেকেই শুরু হয় প্যারিসের উল্লাস।
তারপর অলিসের চমৎকার টার্ন নিয়ে নেওয়া শট ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত করে। আর শেষ দশ মিনিটে এমবাপ্পে ও একিটিকে স্কোরলাইনে আরও রঙ যোগ করেন।
এই হারে ‘গ্রুপ-ডি’ থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে ইউক্রেন। ম্যাচে তারা একটিমাত্র শট নিতে পেরেছিল, যা ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইন্যাঁকে কোনো ভাবেই পরীক্ষা করতে পারেনি। শুরু থেকেই তাদের পরিকল্পনা ছিল ফ্রান্সকে অস্বস্তিতে রাখা এবং প্রায় এক ঘণ্টা সেটিতে সফলও হয়েছিল তারা।
বিরতির ঠিক আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে যখন ব্র্যাডলি বারকোলার দুর্দান্ত বাঁকানো শট ইউক্রেন গোলরক্ষক ত্রুবিন পোস্টে ঠেকিয়ে দেন।
তবে এমন প্রতিভাবান একটি দলকে বেশি সময় আটকানো কঠিন। বারকোলার দারুণ দৌড়ের পর অলিসেকে ফাউল করেন তারাস মিখাভকো। স্পট কিকে তখন এমবাপ্পের সামনে শুধু নরম চিপে বল পাঠিয়ে দেওয়ার কাজটা বাকি ছিল।
কিছুক্ষণ পর এন’গোলো কান্তের প্রেসিংয়ে ইউক্রেনের ডিফেন্স বল হারালে আবার সুযোগ আসে ফ্রান্সের। কান্তে বল বাড়ান অলিসেকে। তিনি ডান পা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাম পায়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে চমকপ্রদ শটে গোল করেন।
শেষদিকে আবার জ্বলে ওঠেন এমবাপ্পে। শুরু এবং শেষ- দুটোরই সঙ্গী তিনি। এ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২০ ম্যাচে তার এটি ২৩তম গোল এবং ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোল। আর ৮৮ মিনিটে অধিনায়ক এমবাপ্পের দেওয়া থ্রু পাস থেকে একিটিকে করেন দলের চতুর্থ গোল।
ফলাফল- ফ্রান্স নিশ্চিত করল বিশ্বকাপ। আর প্যারিসে রাতে আবারও গর্জে উঠল ‘আলেলে লে ব্ল্যু’।
ঢাকা/আমিনুল