মাহবুব আলী খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল
Published: 10th, August 2025 GMT
সাবেক মন্ত্রী, নৌবাহিনী প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শ্বশুর রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়ার উদ্যোগে মহানগর ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোডে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । উক্ত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তার পরিবার এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং জিয়া পরিবারের জন্য দোয়া করা হয়।
দোয়া মাহফিল পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মাহবুব আলী খান মরহুমের কর্মময় জীবনে তিনি একজন সৎ,নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক ছিলেন এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি নৌবাহিনীর প্রধান থাকাকালীন বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা রক্ষা,জলদস্যু দমন, দক্ষিন তালপট্টি দ্বীপকে বাংলাদেশের সীমানার অভ্যন্তরীন রাখতে যথেষ্ট সাহসী ভূমিকা পালন করেন। মরহুম মাহবুব আলী খান সাহেব ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মতো গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সাজিদ আলম, সহ- সম্পাদক ইব্রাহিম, ছাত্রদল সদস্য জিসান, মনির, জোবায়ের, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদল নেতা আবির, রায়হান, আহসান, ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন,সদস্য ইমরান, অনু, মো খান, রনি, সালমান, জিসান, হাসিব, আপন, তানভীর, ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা সুজন, জিহাদ, তোলরাম কলেজ ছাত্রদল নেতা আকাশ, হিমেল প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ছ ত র দল
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে বারবার সাম্প্রদায়িক উসকানি, বিভিন্ন ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর দেবালয় আক্রমণ-ভাঙচুরসহ নানা অপ্রীতিকর সাজানো ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তাদের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই বাণী দেওয়া হয়।
বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী। এ উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। তাঁদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।’
শারদীয় দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর সব মানুষের জীবনে এক আলোকদীপ্ত বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশসহ বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর এই ধর্মীয় উৎসব এক ঐশ্বর্যময় ঐতিহ্য মহিমামণ্ডিত। দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক।
পৃথিবীতে অঞ্চলভেদে যেকোনো উৎসবই মানুষের মধ্যে স্বর্গীয় আনন্দ ও শুভেচ্ছার বার্তা নিয়ে আসে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, উৎসবের প্রাঙ্গণে কোনো বিধিনিষেধ নেই। সেটি প্রত্যেক মানুষেরই মিলনক্ষেত্র। বাংলাদেশের মৃত্তিকার গভীর থেকে যে ইতিহাস-ঐতিহ্য উৎসারিত হয়, সেটি ধর্মীয় স্বাধীনতা-মূল্যবোধকে অন্তর্ভুক্ত করে। দুর্গাপূজার মূল বাণী হচ্ছে, অশুভের ওপর শুভের জয়। দুর্গা তাঁর গৌরবময় লক্ষ্য অর্জনের জন্য মন্দকে উপলব্ধি করেন, তা প্রতিহত করেন।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তবে অশুভ চক্রের চক্রান্ত ঠেকাতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে পূজামণ্ডপে পাহারা দিচ্ছে। যাতে শান্তি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে পারে। তাদের প্রতিহত করতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।
ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক কোনো বৃত্তে আবদ্ধ থাকে না বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, উৎসব বৃত্ত অতিক্রম করে সব মানুষকে নিয়ে উদ্যাপিত হয়। মানুষের আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে।
অপশক্তির অশুভ তৎপরতা দুর্গাপূজার উৎসবে যাতে কোনোভাবেই বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশি এটিই আমাদের গর্ব, এটিই আমাদের একমাত্র পরিচয়।’