দ্রুত যুদ্ধের অবসান ঘটাতেই গাজা দখল প্রয়োজন: নেতানিয়াহু
Published: 10th, August 2025 GMT
ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনার পক্ষে সাফাই গাইলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, দ্রুত যুদ্ধের অবসান ঘটাতেই গাজার দখল প্রয়োজন। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেছেন।
শুক্রবার ইসরায়েল তার সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ এবং গাজা শহরের বৃহত্তম নগর কেন্দ্র গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার নতুন পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই খবর দেশ-বিদেশে নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশও রয়েছে।
জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদেশী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নেতানিয়াহু বলেন, হামাস অস্ত্র সমর্পণে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ইসরায়েলের কাছে কাজ শেষ করে হামাসকে পরাজিত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
হামাস জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা নিরস্ত্রীকরণ করবে না।
গাজা দ্রুত দখল করা হবে উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা এই পদক্ষেপের জন্য যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছি তা বেশ দ্রুত। আমরা চাই, প্রথমত, নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা যাতে গাজা শহরের বেসামরিক জনগণ সরে যেতে পারে।”
তিনি বলেন, “আমি সঠিক সময়সূচি সম্পর্কে কথা বলতে চাই না, তবে আমরা মোটামুটি সংক্ষিপ্ত সময়সূচির কথা বলছি, কারণ আমরা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাই। এভাবেই আমরা যুদ্ধের অবসান ঘটাই।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চায়ের দোকান থেকে নিউইয়র্ক, পুরস্কার ঘোষণার দিনেই মৃত্যু
কোনো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে আলোড়ন তুললেন; ছবিটি পেল জাতীয় পুরস্কার। আর পুরস্কার ঘোষণার একই দিনে সেই তরুণ চিরতরে চলে গেলেন। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছিল অবতার কৃষ্ণ কৌলের জীবনে।
১৯৩৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম নেওয়া কৌলের শৈশবই ছিল বেদনার। বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে একদিন তিনি ঘর ছেড়ে পালালেন। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিন কাটত, চায়ের দোকানে কিংবা ছোট হোটেলে কাজ করতেন। অভুক্ত থেকেও বই আর শব্দের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এই অপূর্ণ শৈশবই হয়তো পরে তাঁকে সিনেমার ভেতর মানুষ আর সমাজকে ভিন্ন চোখে দেখার শক্তি দিয়েছিল।
নিউইয়র্কে নতুন জীবন
পরবর্তী সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পেয়ে পৌঁছে গেলেন নিউইয়র্কে। দিনের চাকরির ফাঁকে রাতগুলো কাটত সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আর পরে ব্রিটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসে কাজ করলেও তাঁর আসল পৃথিবী ছিল অন্যত্র। সহকর্মীরা প্রায়ই দেখতেন, হাতে উপন্যাস বা নোটবুক নিয়ে বসে আছেন কৌল। তাঁর চোখে তখন এক স্বপ্ন—চলচ্চিত্র নির্মাণ।