মুরগির ডাক শুনে ঘরের দরজা খুলতেই খুন হন জসীম
Published: 10th, August 2025 GMT
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে জসীম উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচা মাতবর মুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জসীম উদ্দিন ওই এলাকার নুর আহমেদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা মুরগির শব্দ নকল করে পরিবারের লোকজনকে দরজা খুলতে বাধ্য করে। দরজা খোলা মাত্র তারা ঘরে ঢুকে প্রথমে জসীম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
যাচ্ছিলেন বিয়ের দিন ঠিক করতে, পথে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ শফি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করে। তারা হলেন- সেগুনবাগিচা এলাকার মনছুর আলম, জহির আহমদ ও তার ছেলে আতিক।’’
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার জন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দাবি জানিয়েছে নাগরিক কোয়ালিশন। শনিবার কোয়ালিশনের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম নাগরিক কোয়ালিশন। বিবৃতিতে এই কোয়ালিশন বলেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত সম্মেলনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য ও হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেশের কিছু বড় ও মূলধারার রাজনৈতিক দল আসন্ন নির্বাচনে ভোটের প্রতিযোগিতায় তুষ্টিবাদী রাজনীতির অংশ হিসেবে আহমদিয়াদের প্রতি বিষোদ্গার করছে। এটি খুবই আশঙ্কাজনক ব্যাপার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছি, এই সংকটকালে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনকে অস্থিতিশীল করতে পারে এমন যেকোনো গোষ্ঠীর ব্যাপারে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে; বিশেষ করে যারা ধর্মকে অবলম্বন করে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।’
দেশের অন্য যেকোনো নাগরিকের মতোই সংবিধানে আহমদিয়াদের ধর্ম পালনের অধিকার সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত রয়েছে বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য এই অধিকার রক্ষায় আমরা অবিচল থাকব।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো শ্রেণি, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিসত্তা এবং ধর্মীয় পরিচয়–নির্বিশেষে সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা বিষয়ে সরব থাকা। আমরা বিশ্বাস করি, এই মৌলিক সাম্যই হতে হবে জুলাই ২০২৪–পরবর্তী বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর।’
আরও পড়ুনখতমে নবুওয়তের মহাসম্মেলন থেকে ১ দফা দাবিতে বছরজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা৮ ঘণ্টা আগে