ইসলামী ছাত্রী সংস্থার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার অভিযোগ জবি ছাত্রদলের
Published: 11th, August 2025 GMT
পরিচয় গোপন করে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিভ্রান্তিকর তথ্য, অপপ্রচার এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষার্থীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি জ্ঞান ও মুক্তচিন্তার ক্ষেত্র, এখানে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা সংগঠিত বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টাকে আমরা কঠোরভাবে নিন্দা জানাই। একজন ছাত্রের সঙ্গে ঘটা ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে ধর্ম ও পর্দায় আনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
জাবিতে ছাত্রদলের বিতর্কিত কমিটি, প্রতিবাদ করায় ১৩ জনকে শোকজ
ছাত্রীদের নিয়ে জবি ছাত্রদল নেতার আপত্তিকর মন্তব্য, সমালোচনার ঝড়
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রবিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভাবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী একটি মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একজনকে বলতে শোনা যায় এখানে ছাত্রী সংস্থার সদস্যরাও উপস্থিত আছেন।
ছাত্রদলের বিপক্ষে যে কোনো সংগঠন, ব্যক্তির পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলে ছাত্রদল সেটিকে আমলে নিয়ে তদন্ত করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার সদস্যরা তাদের পরিচয় গোপন করে ছাত্রদলের বিপক্ষে হীন উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম, পরিচয় ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা দলের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জবি ছাত্রদল মনে করে, মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে, কিন্তু তা অবশ্যই গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক উপায়ে হতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মতামতকে উপেক্ষা করে এবং তাদের অনুমতি ছাড়া তাদের নামে রাজনৈতিক বা সংগঠিত কর্মসূচি ঘোষণা করা শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবমাননা ও প্রতারণা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশের ক্ষেত্র হলেও, এখানে পরিচয় বিকৃতি, বিভ্রান্তিকর প্রচারণা এবং একটি গোষ্ঠীর কর্মসূচী চাপিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থী সমাজকে বিভক্ত করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে এবং সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে।
একে অপরের মতামতকে সম্মান জানিয়ে, ঐক্য ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ বজায় রাখতে এবং যেকোনো ধরনের উসকানি থেকে দূরে থাকতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রদল।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল অভ য গ ছ ত রদল র ব সদস য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল
সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে গোপনে বিক্রির ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবীতে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান–সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম এবং একাধিক অভিযোগের মুখে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, “এ ইউনিয়নকে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে মাসুম ও মনিরুজ্জামান নিজেদের ইচ্ছেমতো সব কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
তাদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়। পরে এলাকাবাসী মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু এখন উল্টো ভালো মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ মোল্লা বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি করে বিক্রি করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের ইউনিয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
স্কুলের মতো পবিত্র জায়গায় দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এলাকাবাসী রাতেই মালামাল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছে—এ এলাকার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।”
এলাকাবাসীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও পরিচালনা কমিটিতে সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঝাড়ু ও জুতা প্রদর্শন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম জানান, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে আমাদের বিতর্কিত করতে বিক্রি করা মালামাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে গতকাল মিটিং করেছি৷
অভিযুক্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া জানান, আমরা স্কুলের একটি কমিটি করে বিক্রি করেছি। তবেমাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেই নি। বিক্রি করার পর গাড়িতে উঠাতে রাত হয়ে যায়। এখানে কোনো চুরির ঘটনা ঘটে নি।
উল্লেখ্য, গত (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের নির্দেশে রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে পঞ্চমীঘাট স্কুলের মালামাল বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয় এক ভাঙ্গারীর পিক-আপ ভ্যানে নেয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।