শাবিতে লোকপ্রশাসনকে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি
Published: 17th, August 2025 GMT
লোকপ্রশাসন বিভাগকে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) মানববন্ধন করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে বিসিএসে সুযোগ পাচ্ছেন, অথচ লোকপ্রশাসন বিভাগ এখনো বঞ্চিত। সিলেবাস প্রায় একই হলেও শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছেন। ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়টিও মূলত লোকপ্রশাসনের অংশ, তবু এখন পর্যন্ত কোড নেই।
আরো পড়ুন:
রাকসু`র ভোটার তালিকায় নাম না আসায় ফি ফেরত দাবি শিক্ষার্থীর
ঢাবিতে ঠিকাদারির টাকা নিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক
বক্তারা আরো বলেন, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ অনেক বিভাগ ইতিমধ্যেই বিসিএসে অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু লোকপ্রশাসন শুধু একটি বিভাগ নয়, এটি রাষ্ট্র নীতি ও প্রশাসন চর্চার একাডেমিক ক্ষেত্র। শিক্ষার্থীরা সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও লোকপ্রশাসন এক বিষয় নয়, বরং দুটি স্বতন্ত্র ক্ষেত্র। একটি নীতিনির্ধারণ আরেকটি বাস্তবায়ন। আমাদের বিভাগের গুরুত্ব এখন এতটাই বেড়েছে যে, সরকারের মন্ত্রণালয়ের নামও পরিবর্তন করে ‘মিনিস্ট্রি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ করা হয়েছে। আমি মনে করি, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের প্রাণস্বরূপ। এ বিষয়ে জ্ঞান ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “লোকপ্রশাসন বিভাগকে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং কলেজ পর্যায়েও পাঠদান চালু করা উচিত। এতে শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্র প্রসারিত হবে, বেকারত্ব কমবে এবং লোকপ্রশাসন বিভাগ একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পাবে।”
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স এস ব স এস
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামুইরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি ও ইউএনওর অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় ধামুইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মঙ্গলকোঠা এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীকে মারধর করেন।
গৃহবধূ সামিরন খাতুন বলেন, ‘পৌরসভার লোকজন গাড়িতে করে আমাদের এলাকায় ময়লা ফেলতে এলে এলাকার সবাই মিলে বাধা দিই। বসতবাড়ির আশপাশে ময়লা ফেললে সমস্যা হবে বলে ইউএনওকে ময়লা না ফেলতে এলাকাবাসী অনুরোধ করেন। কিন্তু ইউএনও আমাদের কথা না শুনে আমাকেসহ মিতুকে (অন্তঃসত্ত্বা নারী) নিজেই লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমরা ইউএনওর অপসারণসহ তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ইউএনও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে তুলেছে সবার সামনে। একজন ইউএনওর আচরণ এমন হলে আমরা বিচার কার কাছে পাব?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একটি খাস জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি ওই এলাকায় গেলে এলাকার কিছু লোক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেখানে কয়েকজন অবৈধ দখলদার নারী-পুরুষ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আনসারদের গায়ে হাত তোলেন। নারীদের মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সেখানে কারও গায়ে হাত তোলা হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, আজ মানববন্ধন করে কিছু লোক ইউএনওর বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।