বাঁশখালীর রাস্তাঘাটের অন্তহীন হাহাকার, দেখার কি কেউ নেই
Published: 17th, August 2025 GMT
বৃষ্টিতে সিক্ত এক দুপুরে, যখন রাজধানীর গাড়িচালিত রাস্তায় গতি মাপা হয় মিনিটে কতটা এগোতে পারে, তখন বাঁশখালীতে একজন রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া যায় না। কারণ, এখানকার রাস্তাগুলো রাস্তা নয়, কাদামাটির কর্দমাক্ত দুঃস্বপ্ন। যেখানে প্রত্যাশা ছিল সমৃদ্ধ একটি যোগাযোগব্যবস্থা, সেখানে জন্ম নিয়েছে এক নির্মম পরিহাস। গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, ভোটের দিনে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়ে যাঁরা মন জয় করেছিলেন, তাঁদের এখন মুখে কুলুপ, চোখে অন্ধত্ব। যেন জনগণের কষ্ট তাঁদের কল্পনারও বাইরে।
গন্ডামারা-টাইমবাজার সড়কের দিকে তাকানো যাক। তিন বছর ধরে কাজ চলছে, বাস্তবে সেটি একটি স্থির দৃশ্যপট ছাড়া কিছু নয়। মুয়াজ্জিমপাড়া-গন্ডামারা ব্রিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথ থেকে ইট সরিয়ে শুধু মাটি ফেলে রাখার পর তিনটি বর্ষাকাল কেটে গেছে, কিন্তু সেই মাটির গায়ে আর নির্মাণের কোনো হাত পড়েনি। প্রতিদিন ভাঙা স্যান্ডেলের ফাঁকে কাদা ঢুকে পড়ে, প্রতিদিন বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়, কিন্তু কাজের অগ্রগতি হয় না। কেউ হাত তুলে বলে না ‘এই যে এই পথে স্কুলে যাওয়া ছেলেটার পা হোঁচট খাচ্ছে বারবার, এই যে বৃদ্ধ মানুষটা পথচলায় হাড়গোড় ভাঙছে, এই দৃশ্য আমারও দেখা দরকার।’
প্রেম বাজার-সরলিয়া রাস্তা কিংবা গুনাগরি-মোশাররফ আলী হাট, বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের রাস্তাও একই দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে। রাস্তা খানাখন্দে ভরা, কোথাও কোথাও ছোটখাটো পুকুর! যেন রাস্তায় গাড়ির আগে চলে মাছ। বাহারছড়া সৈকত সংযোগ রাস্তা কিংবা ইকোপার্ক সংযোগ রাস্তা, এসব জায়গায় পর্যটনের সম্ভাবনা থাকলেও তা চাপা পড়ে আছে অব্যবস্থাপনার ধ্বংসস্তূপে। অথচ এই এলাকা হতে পারত দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান, যেখানে মানুষ আসত প্রকৃতির টানে, ফিরে যেত ভালোবাসায় ভরে।
তিন বছর সময় কম নয়। একটি শিশুর হাঁটতে শেখার জন্য যথেষ্ট, একটি শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে পারে, একটি সরকার গঠন হতে পারে, এমনকি একটি জাতি দিক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতে পারে; কিন্তু বাঁশখালীতে তিন বছর মানে অন্ধকারে পথচলা, প্রতিশ্রুতির পচন আর গলার রক্তচাপার পরও নিস্তব্ধতা। কেন এমন হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা সবাই জানি, কিন্তু বলতে ভয় পাই। কারণ, উত্তরটি বড় অসহ্য—দায়িত্বের অভাব, দুর্নীতির গ্রাস, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অনুপস্থিতি। জনগণের কষ্ট যেন এখন ক্ষমতাধরদের এজেন্ডায় নেই।
রাস্তা সংস্কার মানে শুধু কাগজে কলম দিয়ে ডিপিপি তৈরি নয়, মাঠে–ময়দানে বাস্তবায়নের জন্য সৎ প্রশাসন, নির্ভরযোগ্য ঠিকাদার ও নিয়মিত তদারকি দরকার। কিন্তু কোথায় সেই সৎ মানুষ? কোথায় সেই প্রকৌশলী, যিনি জনগণের কান্না শোনেন? জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে চুপ কেন? তাঁরা তো জনগণেরই প্রতিনিধি। তাঁরা তো সেই মানুষ, যাঁরা ভোট চাইতে দরজায় দরজায় গিয়েছিলেন। আজ যখন রাস্তার অবস্থা বেহাল, একজন প্রসূতির অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকে, তখন সেই নেতারা কোথায়? যখন শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে না পেরে পিছিয়ে পড়ে, তখন তাঁদের বিবেক কাঁদে না? নাকি পদ ও প্রতিপত্তির ঊর্ধ্বে উঠে গেছে সব মানবিকতা? এই যে জনদুর্ভোগ, এই যে রাস্তার অচলাবস্থা, তা কি উন্নয়নের শত্রু নয়? প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, তহবিল বরাদ্দ হয়, কিন্তু বাস্তবায়নের মাঠে শূন্যতা। মধ্যস্বত্বভোগী, কমিশনভিত্তিক ঠিকাদার আর রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় চলা দুর্নীতির বৃত্ত যেন গিলে খাচ্ছে জনতার অধিকার।
আমরা যদি জানতাম, কাজ না হওয়ার কারণ বাজেট নেই, তবু একধরনের সহানুভূতির জায়গা তৈরি হতো। কিন্তু আমাদের যন্ত্রণা আরও গভীর। কারণ, বাজেট আছে, কাগজপত্রে কাজও চলছে, শুধু বাস্তবের মাটি শুকিয়ে গেছে।
এ ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি কার? সেই সাধারণ মানুষের, যাদের কাছে রাষ্ট্র মানে একটুখানি ভালো রাস্তা, একটু নিরাপদে পথচলা আর সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানো। তারা তো ঘুষ দেয় না, তদবির করে না, দলবাজি বোঝে না। তাদের একটাই চাওয়া, রাষ্ট্রের মৌলিক সেবাগুলো যেন ঠিকঠাক থাকে। আজকের এই বাস্তবতায় প্রশ্ন জাগে, জনগণের যে যোগাযোগের অধিকার, তা কি বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে?
বাঁশখালীর জনগণ কি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক? তাদের চোখে কান্না, মুখে অভিযোগ, মনে তীব্র বঞ্চনার ক্ষত—এই সবকিছু দেখেশুনেও যদি প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, প্রকৌশলী কিংবা মিডিয়া চুপ থাকে, তাহলে এ রাষ্ট্র কোন মানুষের জন্য?
বাঁশখালীর এই সড়ক দুর্ভোগ আসলে একটা বড় প্রশ্নের প্রতীক—আমরা কোন দিকে যাচ্ছি? যখন দেশের বড় শহরগুলো আলোকোজ্জ্বল, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভারে ভাসছে, তখন তার কিছু মাইল দূরের এক উপজেলার রাস্তায় একজন বৃদ্ধ মানুষ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। এ বৈষম্য কি নতুন এক শোষণব্যবস্থা গড়ে তুলছে না?
প্রশাসনকে আজ জবাবদিহির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার। জনপ্রতিনিধিদের মুখোমুখি করে প্রশ্ন রাখতে হবে, কেন এই অচলাবস্থা? কাদের স্বার্থে বারবার প্রকল্প শুরু হয়, মাঝপথে থেমে যায়? ঠিকাদারদের ওপর নজরদারি কই? আর সবচেয়ে বড় কথা, জনগণের কষ্ট নিয়ে কথা বলার কেউ কি নেই?
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল জাতিগত হত্যা চালাচ্ছে ও দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত—এমন একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির প্রতিনিধিরা। দলটির বার্ষিক সম্মেলনে প্রস্তাবটির ওপর এই ভোটাভুটি হয়। এ ফলাফলকে লেবার সম্মেলনের ইতিহাসে এক বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অভূতপূর্ব এ সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক অনুসন্ধান কমিশনের প্রতিবেদনই মেনে নিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিগত হত্যা চালাচ্ছে। সম্মেলনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দেশটিতে অস্ত্র বিক্রিতে পূর্ণ অবরোধ আরোপের বিষয়েও সমর্থন জানানো হয়।
গত রোববার লিভারপুলে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা নানা বিষয়ে প্রস্তাবে ভোট দিচ্ছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিনিধিরা আরেকটি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন, যা লেবারের প্রচলিত ইসরায়েল নীতিকে সমর্থন করছিল বলে ধারণা করা হয়।প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের পরিচালক বেন জামাল বলেন, এটি সরকারের জন্য বড় পরাজয়। লেবার পার্টি অবশেষে স্বীকার করেছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিহত্যা চালাচ্ছে। এ ঐতিহাসিক ভোট এখন সরকারের নীতিতে পরিণত হওয়া উচিত—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা ও দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির ওপর অবরোধ জারি করতে হবে।
ট্রান্সপোর্ট স্যালারিড ইউনিয়নের (টিএসএসএ) সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম এসলামদুস্ত বলেন, ‘আজ লেবার আন্দোলন ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। লেবার নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা গেছে—আমরা জাতিহত্যার অপরাধে নীরব থাকব না।’
গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিনিধিরা আরেকটি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন, যা লেবারের প্রচলিত ইসরায়েল নীতিকে সমর্থন করছিল বলে ধারণা করা হয়।
আগের দিন গত রোববার যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মন্ত্রী হ্যামিশ ফ্যালকনার ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। সেখানে ভুলভাবে দাবি করা হয়েছিল, ১৬ সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ অনুসন্ধান কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ‘জাতিহত্যার ঝুঁকি’ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলেছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিহত্যা চালিয়েছে ও এখনো চালাচ্ছে।
এটি সরকারের জন্য বড় পরাজয়। লেবার পার্টি অবশেষে স্বীকার করেছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিহত্যা চালাচ্ছে। এ ঐতিহাসিক ভোট এখন সরকারের নীতিতে পরিণত হওয়া উচিত—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা ও দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির ওপর অবরোধ জারি করতে হবে।বেন জামাল, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের পরিচালকমিডল ইস্ট আইয়ের তথ্যমতে, যে জরুরি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ফ্যালকনার রোববার বক্তব্য দিয়েছিলেন, প্রস্তাবটি বরং বড় ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন সমর্থন পেয়েছে।
মিডল ইস্ট আই যে প্রস্তাবের কপি দেখেছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘সম্মেলন জাতিসংঘ অনুসন্ধান কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ করছে এবং লেবার সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে, গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে তার হাতে থাকা সব যুক্তিসংগত উপায় ব্যবহার করতে।’
আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫প্রস্তাবে আরও দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মানতে চাপ দিতে সরকারকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে এবং যুক্তরাজ্যের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে জাতিহত্যায় সহযোগিতা না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ ঘটনা লেবার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সরকারের নীতির প্রতি অসন্তুষ্টির স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রিটেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে জাতিহত্যা বলে ঘোষণা করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।ব্রিটিশ প্যালেস্টিনিয়ান কমিটির পরিচালক সারা হুসেইনি বলেন, লেবার নেতৃত্বকে এখন নিজেদের দলের সদস্য, জাতিসংঘ, জাতিহত্যা বিশেষজ্ঞ ও অসংখ্য মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বীকার করতে হবে যে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিহত্যা চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এ অপরাধে সম্পৃক্ততা বন্ধ করতে হবে।
স্টারমার সরকারের ওপর চাপ
প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় গাজায় জাতিহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
আজ লেবার আন্দোলন ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। লেবার নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা গেছে, আমরা জাতিহত্যার অপরাধে নীরব থাকব না।মারিয়াম এসলামদুস্ত, ট্রান্সপোর্ট স্যালারিড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকএ ঘটনা লেবার কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে সরকারের নীতির প্রতি অসন্তুষ্টির স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রিটেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে জাতিহত্যা বলে ঘোষণা করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি–সংক্রান্ত ৩৫০টি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করেছিল। পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের অস্ত্র গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গের কাজে ব্যবহার হতে পারে।
তবে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশের লাইসেন্স নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়। এই যুদ্ধবিমান সরাসরি গাজায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, লেবার পার্টির ৭২ শতাংশ ভোটার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের মধ্যে একের পর এক কূটনৈতিক বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ দুই দেশ দীর্ঘদিনের মিত্র। এ মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্য সরকার দেশটিতে সবচেয়ে বড় অস্ত্র মেলায় ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্রিটেনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্তকে ‘হামাসকে দেওয়া পুরস্কার’ বলে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুনপশ্চিমা নেতারা কি মুখ রক্ষা করতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫তবে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ গত সপ্তাহেই ব্রিটেনে যান ও ডাউনিং স্ট্রিটে স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরে হারজগ বলেন, তিনি স্টারমারের সঙ্গে একদিকে বিতর্ক করেছেন, অন্যদিকে কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন। স্টারমারকে তিনি ইসরায়েলের মিত্র আখ্যা দেন।
আরও পড়ুনইসরায়েল ভ্রমণে না যেতে বলেছে যুক্তরাজ্য, দূতাবাসের কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা১৫ জুন ২০২৫আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতির গুরুত্ব কতটা২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫