দেশের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসান বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলছেন। নানা জটিলতায় তার দেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ নেই। সাকিব যা করে গেছেন তাই ইতিহাসের কালিতে লেখা আছে। অর্জনে প্রাপ্তিতে সবসময়ই তিনি সবার সেরা। 

সাকিবের অনুপস্থিতে তার রেকর্ডগুলো হয়ে যাচ্ছে হাতছাড়া। লম্বা সময় ধরে সাকিব ছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান। গত বছর দেশের জার্সিতে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলা সাকিব ১২৯ ম্যাচে ২৫৫১ রান করেছেন। তার চেয়ে ১৫ ম্যাচ কম খেলে সেই রান টপকে গেছেন বাংলাদেশের বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।

দুবাইয়ে গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩ রানের ইনিংস খেলার পথে সাকিবকে ছাড়িয়ে যান লিটন। ১১৪ ম্যাচে ২৫৫৬ রান করেছেন লিটন। কমপক্ষে ২০০০ রান করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের তালিকায় আরো রয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। লিটন সাকিব ও মাহমুদুল্লাহর চেয়ে গড় রান ও স্ট্রাইক রেটেও   এগিয়ে আছেন। সবচেয়ে বেশি ১৫ ফিফটিও তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে।

ব্যাটিংয়ে সাকিবকে লিটনের ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে বোলিংয়ে সাকিবের পাশে বসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১২৯ ম্যাচে সাকিবের উইকেট ১৪৯টি। মোস্তাফিজুর ১১৭ ম্যাচে ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিবকে। বাংলাদেশের সুপারস্টারকে ছাড়িয়ে যাওয়া মোস্তাফিজের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক বক

এছাড়াও পড়ুন:

ইসি সংলাপে ১৪ দলকে চায় না গণ অধিকার পরিষদ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংলাপে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেছে গণঅধিকার পরিষদ।

নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন এই দলটির দাবি, যেসব রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাদের কোনো নেতা-কর্মী যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে— সে বিষয়ে কমিশনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এ বিষয়ে লিখিত আবেদন জমা দেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের রাশেদ খান বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিলে তারা নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত ও ব্যাহত করতে পারে। তাই এ বিষয়ে ইসিকে সতর্ক থাকতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে, ইসিকেও শুধু সেসব দলের সঙ্গেই আলোচনা করা উচিত। নিবন্ধনের অজুহাতে জাপা বা ১৪ দলের শরিকদের সংলাপে ডাকা হলে আমরা আন্দোলনে নামব।”

গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা সতর্ক করে বলেন, “ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের সংলাপের সুযোগ দিলে তা হবে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। ইসি যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে জনগণের ক্ষোভে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে।”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে বিভিন্ন দলকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ