জেন জি প্রজন্ম হবে ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী প্রজন্ম
Published: 21st, September 2025 GMT
NielsenIQ- এর রিপোর্ট এর তথ্য, ‘জেনারেল জেড বা জেন জি প্রজন্ম হবে ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী এবং সর্বোচ্চ ব্যয়কারী প্রজন্ম। ২০৩০ সালের মধ্যে, তাদের মোট ব্যয় ১২.৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এই প্রজন্ম বিশ্বব্যাপী ব্যয়ের ১৮.৭% নিজেদের দখলে রাখবে এবং ভোক্তাদের পছন্দ পুনর্গঠন করবে। এই প্রজন্ম যা কিছু পছন্দ করবে তা বিশ্ববাজারকে নতুন রূপে সাজাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘আপনি একজন বিনিয়োগকারী, ব্যবসার মালিক, শিক্ষক বা নীতিনির্ধারক, যে-ই হোন না কেন, ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে তা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ বোঝার ক্ষেত্রে জেন জেড-প্রজন্ম এগিয়ে তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য।’’
আরো পড়ুন:
পদ্মবীজ থেকে যেভাবে তৈরি হয় মাখানা
‘ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং’-এ মজেছে তরুণ-তরুণীরা
কারা জেনারেল জেড
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ভেতর যাদের জন্ম, তাদেরকে বলা হচ্ছে জেন-জি বা জেনারেশন জেড।এই প্রজন্মের বয়স এখন ১৩ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে রয়েছে। তারা অনলাইনে আয় করছে, বিভিন্ন ধরনের খণ্ডকালীন কাজ করছে। কেউ কেউ ফুল টাইম চাকরিতে ঢুকে গেছে।
তারা অর্থ ব্যয় করছে কোথায়
জেনারেল জেড অর্জিত অর্থ খরচ করার জন্য ফ্যাশন, গ্যাজেট, ভ্রমণ ও লাইফস্টাইল— এর মতো খাতগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ব্র্যান্ড এর পোশাক কেনায় বেশি খরচ করেন তারা। জেটের প্রতি তীব্র আগ্রহী এই প্রজন্ম। তারা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, হেডফোনসহ নানা ধরনের প্রযুক্তি পণ্য কেনায় বিপুল পরিমাণে অর্থ খরচ করার পথ বেছে নিয়েছেন।
এই প্রজন্ম রেস্তোরাঁ, ফাস্ট ফুড, ক্যাফে, কফিশপে আড্ডা দেওয়ার সংস্কৃতিকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। দল বেঁধে ঘুরতে বের হতে পছন্দ করেন তারা। ভ্রমণে খরচ করতে আগ্রহী এই প্রজন্ম।
জেনারেল জেড প্রজন্ম মেতেছেন নেটফ্লিক্স এর মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, গেমস, সিনেমা, অনলাইন সাবস্ক্রিপশনে বেশি টাকা খরচ করেন তারা।
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের আগ্রহী এই প্রজন্ম। এজন্য অনলাইন কোর্স, প্রশিক্ষণ, অ্যাপ, সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন করে থাকে।এই প্রজন্ম অবসরকালীন সঞ্চয়ের প্রতি তারা তেমন আগ্রহী নন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, জেন জেড প্রজন্ম মোবাইল ওয়ালেট, ফিনটেক অ্যাপ, এমনকি ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্টে আগ্রহী। প্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়াকে তারা বড় বিনিয়োগ মনে করছেন।
সূত্র: ইনভেস্টপেডিয়া
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই প রজন ম খরচ কর
এছাড়াও পড়ুন:
যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো
প্রাচীন মিশরের ১৮তম রাজবংশের একজন শক্তিশালী রানী এবং ফারাও আখেনাতেনের প্রধান রাজমহিষী ছিলেন রানি নেফারতিতি ছিলেন। এই নারী তার সৌন্দর্যের কারণে অধিক পরিচিত। এ ছাড়া ইতিহাসে তার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, তিনি মিশরে একেশ্বরবাদী ধর্মীয় বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
নেফারতিতি নামের অর্থ ‘‘একজন সুন্দরী নারী এসেছেন’’। নেফারতিতির জন্ম আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৭০ অব্দে।
আরো পড়ুন:
সঞ্চয় করার কিছু কার্যকর উপায়
আজ পুরুষদের রান্না করার দিন
জানা যায়, নেফারতিতির বাবা ছিলেন ফারাও আখেনাতেনের উপদেষ্টা এবং তিনিই কিশোর রাজকুমার আখেনাতেনের দেখাশোনা করতেন। বাবার সুবাদে শৈশবেই রাজকুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় নেফারতিতির এবং অল্প বয়সেই তিনি আখেনাতেনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। ১৫ বছর বয়সে রাজকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ক্রমে ফারাও আখেনাতেনের জীবনে অত্যন্ত গভীর প্রভাব বিস্তার করেন এই রানি।
আখেনাতেন মিশরের ঐতিহ্যবাহী বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম পরিবর্তন করে ‘আতেন’ বা সূর্য দেবতার একেশ্বরবাদী পূজার প্রচলন করেছিলেন। এই ধর্মীয় পরিবর্তনে নেফারতিতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তাকে জীবন্ত দেবী হিসেবে গণ্য করা হতো।
আখেনাতেনের রাজত্বকালে নেফারতিতি একজন ফারাওয়ের মতোই ক্ষমতা এবং মর্যাদা ভোগ করতেন। অনেক ভাস্কর্য ও চিত্রে তাকে ফারাওদের মতো ক্ষমতা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। বার্লিনের একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত নেফারতিতির একটি মার্জিত এবং রঙিন আবক্ষ মূর্তি প্রাচীন মিশরীয় শিল্পের অন্যতম পরিচিত নিদর্শন।
আখেনাতেনের রাজত্বের প্রায় ১২ বছর পর হঠাৎ করেই নেফারতিতি ইতিহাস থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। তার মৃত্যু সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায় এবং তার সমাধি আজও আবিষ্কৃত হয়নি, যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে একটি অনেক বড় রহস্য।
সূত্র: ব্রিটানিকা কিডস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি