NielsenIQ- এর রিপোর্ট এর তথ্য, ‘জেনারেল জেড বা জেন জি প্রজন্ম হবে ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী এবং সর্বোচ্চ ব্যয়কারী প্রজন্ম। ২০৩০ সালের মধ্যে, তাদের মোট ব্যয় ১২.৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এই প্রজন্ম বিশ্বব্যাপী ব্যয়ের ১৮.৭% নিজেদের দখলে রাখবে এবং ভোক্তাদের পছন্দ পুনর্গঠন করবে। এই প্রজন্ম যা কিছু পছন্দ করবে তা বিশ্ববাজারকে নতুন রূপে সাজাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘আপনি একজন বিনিয়োগকারী, ব্যবসার মালিক, শিক্ষক বা নীতিনির্ধারক, যে-ই হোন না কেন, ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে তা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  ভবিষ্যৎ বোঝার ক্ষেত্রে জেন জেড-প্রজন্ম এগিয়ে তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য।’’

আরো পড়ুন:

পদ্মবীজ থেকে যেভাবে তৈরি হয় মাখানা

‘ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং’-এ মজেছে তরুণ-তরুণীরা

কারা জেনারেল জেড
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ভেতর যাদের জন্ম, তাদেরকে বলা হচ্ছে জেন-জি বা জেনারেশন জেড।এই প্রজন্মের বয়স এখন ১৩ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে রয়েছে। তারা  অনলাইনে আয় করছে,  বিভিন্ন ধরনের খণ্ডকালীন কাজ করছে। কেউ কেউ ফুল টাইম চাকরিতে ঢুকে গেছে।

তারা অর্থ ব্যয় করছে কোথায়
জেনারেল জেড অর্জিত অর্থ খরচ করার জন্য ফ্যাশন, গ্যাজেট, ভ্রমণ ও লাইফস্টাইল— এর মতো খাতগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ব্র্যান্ড এর পোশাক কেনায় বেশি খরচ করেন তারা। জেটের প্রতি তীব্র আগ্রহী এই প্রজন্ম। তারা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, হেডফোনসহ নানা ধরনের প্রযুক্তি পণ্য কেনায় বিপুল পরিমাণে অর্থ খরচ করার পথ বেছে নিয়েছেন।

এই প্রজন্ম রেস্তোরাঁ, ফাস্ট ফুড, ক্যাফে, কফিশপে আড্ডা দেওয়ার সংস্কৃতিকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। দল বেঁধে ঘুরতে বের হতে পছন্দ করেন তারা। ভ্রমণে খরচ করতে আগ্রহী এই প্রজন্ম।

জেনারেল জেড প্রজন্ম মেতেছেন নেটফ্লিক্স এর মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, গেমস, সিনেমা, অনলাইন সাবস্ক্রিপশনে বেশি টাকা খরচ করেন তারা। 

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের আগ্রহী এই প্রজন্ম। এজন্য অনলাইন কোর্স, প্রশিক্ষণ, অ্যাপ, সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন করে থাকে।এই প্রজন্ম অবসরকালীন সঞ্চয়ের প্রতি তারা তেমন আগ্রহী নন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, জেন জেড প্রজন্ম মোবাইল ওয়ালেট, ফিনটেক অ্যাপ, এমনকি ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্টে আগ্রহী। প্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়াকে তারা বড় বিনিয়োগ মনে করছেন।

সূত্র: ইনভেস্টপেডিয়া

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই প রজন ম খরচ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেন বাংলাদেশের ‘বিপদের বন্ধু’ মোস্তাফিজ

দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ডেথ ওভারে তাঁর টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যানও ঈর্ষণীয়। মোস্তাফিজ দলে থাকলে বাংলাদেশ ভালো খেলে, এমন একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সাইফ হাসান বলেন, মোস্তাফিজ সংকটময় পরিস্থিতিতে বোলিং করে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ