পুঁজিবাজারে বড় পতনে সপ্তাহ শুরু
Published: 21st, September 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে, উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৮.
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৯টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫০টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৬২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অপরদিকে, সিএসইেত সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮১.০৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৩৩৮ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৮.৫৮ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১৩.০১ পয়েন্ট কমে ৯৫৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৭১.৪৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২টি কোম্পানির, কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২১টির।
সিএসইতে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৩.৮৫ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৪৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৩.৯৪ পয়েন্ট বা ২.০৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ১০৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৮.১১ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৪৬.১০ পয়েন্ট বা ৪.৯৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭৪ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬১৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৪৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২ হাজার ২৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির, দর কমেছে ৩০৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৬টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮১.২৬ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৬৫ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.১৪ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৮৪ শতাংশ কমে ৯৭১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ৪.৬৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৬ হাজার ২৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৫১৬ কোটি ৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, দর কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/এস