চট্টগ্রামসহ দেশের তিন জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়ালকে চট্টগ্রামের ডিসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনকে নরসিংদী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মনিরা হককে নওগাঁর ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের ডিসি ফরিদা খানমকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং নরসিংদীর ডিসি মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর আরও তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়। জেলাগুলো হলো কক্সবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও মাদারীপুর। তাঁদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ আগস্ট ছয় জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিন জেলার ডিসিকে অন্য তিন জেলায় বদলি করা হয়েছে। আর তিন জেলায় তিনজন উপসচিবকে ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মাঠপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে সামনে আরও পরিবর্তন করা হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে ঘিরে এই পদে ব্যাপক রদবদল হতে পারে।

আরও পড়ুনজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে বদলি৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র উপসচ ব

এছাড়াও পড়ুন:

উপসচিব মামুন মিয়াকে ‘তিরস্কার’

অনুমতি ছাড়া একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় উপসচিব মো. মামুন মিয়াকে ‘তিরস্কার’ (লঘুদণ্ড) দিয়েছে সরকার। তিনি বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মামুন মিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক থাকাকালে নরসিংদীর ঘোড়াশালের করতেতৈল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদ দায়িত্ব নেন, যা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৯ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ব্যক্তিগত শুনানি শেষে তদন্ত কর্মকর্তা মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদন দেন। সেই ভিত্তিতে তাকে তিরস্কারের শাস্তি দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, অনুমতি ছাড়া ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদ গ্রহণ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ হিসেবে গণ্য।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উপসচিব মামুন মিয়াকে ‘তিরস্কার’