গাইবান্ধায় গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
Published: 21st, September 2025 GMT
গাইবান্ধায় এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের বাগদা বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর শিউলি বেগম (৩৫)। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ এলাকার শরীফ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ফরিদ উদ্দিন (৪৫) পলাতক।
পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে বাগদা বাজার এলাকার ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে বোগদহ এলাকার শিউলি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলিকে নির্যাতন করতেন ফরিদ। গতকাল সন্ধ্যায় ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ফরিদ শিউলিকে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। রাত ৯টার দিকে বাগদা বাজার এলাকার বাড়ির পাশে কলাবাগানে শিউলির লাশ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত শিউলির বাবা শরীফ মিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফরিদ। পরিকল্পিতভাবেই শিউলিকে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়েছেন ফরিদ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম বলেন, নিহত নারীর গলা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর থ ক উদ ধ র এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
পার্বতীপুর-সৈয়দপুর ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনের ১৭ কিলোমিটারের তার চুরি
দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর পর্যন্ত ৩৩ হাজার ভোল্টেজের সরকারি সঞ্চালন লাইনের প্রায় ১৭ কিলোমিটারের অ্যালুমিনিয়াম তার চুরি হয়েছে। প্রতিটি লাইনে তিনটি করে তার থাকায় মোট প্রায় ৫১ কিলোমিটার তার চুরি গেছে।
এই সঞ্চালন লাইনটি নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)-এর আওতাধীন। সৈয়দপুরের শেষ সীমা থেকে পার্বতীপুর নেসকো কার্যালয় পর্যন্ত খুঁটির ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহন হতো। সম্প্রতি চোরের দল ওই খুঁটির তার কেটে নিয়ে যায়। অভিযোগ আছে, বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতি ও অসাধু কর্মকর্তাদের মদদে পরিকল্পিতভাবে এই চুরি হয়েছে।
সৈয়দপুর পাওয়ার গ্রিড থেকে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুর নেসকো কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। ২০২০ সালে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র (৫২৫ মেগাওয়াট) চালু হওয়ার পর পার্বতীপুর নেসকো অফিস ওই কেন্দ্র থেকে নতুন করে ১৫ কিলোমিটার ৩৩ হাজার ভোল্টেজের গ্রিড সংযোগ নেয়। এরপর থেকে সৈয়দপুর গ্রিডের লাইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় থাকার সুযোগে চোরেরা রাতে পার্বতীপুর নেসকো কার্যালয়ের সামনে থেকেই সঞ্চালন লাইনের তার কেটে নিয়ে যায়।
আজ সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, সৈয়দপুর গ্রিড থেকে শুরু হয়ে উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চৌমহনী বাজার, পার্বতীপুরের বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, বেলাইচন্ডি বাজার, জাকেরগঞ্জ ও বান্নিনরঘাট গ্রামের পাশ দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনটি গেছে। এ লাইন পার্বতীপুর-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম ধার ঘেঁষে পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার পাশ দিয়ে শহরে ঢুকেছে। এরপর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের পূর্ব দিক হয়ে সুন্দরীপাড়া রেলগেট পর্যন্ত খুঁটি স্থাপন করা হয়, যা পার্বতীপুর বিদ্যুৎ অফিসে যুক্ত ছিল। বর্তমানে ওই খুঁটিগুলো তারবিহীন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
বেলাইচণ্ডি বুড়িরঘাট এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক বাসিন্দা বলেন, কে বা কারা তার নিয়ে গেছে, তাঁরা জানেন না।
পার্বতীপুর বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র নেসকো কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান বলেন, ‘পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনের তার চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি, ছুটি শেষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।’
চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে পার্বতীপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী সত্যজিৎ দেব শর্মা বলেন, তথ্য নিতে হলে অফিসে তথ্য অধিকার ফরম আছে, তা পূরণ করে তথ্য নিতে হবে।